ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে না পারলে সরকারের ক্ষতি হবে: ওবায়দুল কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১১
শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে না পারলে সরকারের ক্ষতি হবে: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে না পারলে সরকারের ক্ষতি হবে। সরকার ও দলে শুদ্ধি অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছে।

একটি দুষ্টচক্র কিছু স্পর্শকাতার বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে সরকারকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে। তারা সরকারের অনেক অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে এবং বিরোধী দলের হাতে রাজনৈতিক ইস্যুতুলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, সুসময়ে যারা দুধের সর খাচ্ছেন দুঃসময়ে তাদের হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

শুক্রবার বিকেলে খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে খিলগাঁও ওভারব্রিজ সংলগ্ন জোরপুকুর মাঠে আয়োজিত নারীনীতি বিরোধী অপপ্রচার, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার ষড়যন্ত্র ও মৌলবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

 
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহণ সেক্টরে যে নৈরাজ্য চলছে তা সরকারকে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শুধু ভাড়া নির্ধারণ করেই দিলেই হবে না, তা কার্যকর করতে হবে। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ভয় পাবেন না, আমরা খালি মাঠে গোল দেব না।

তিনি বলেন, খায়রুল হককে প্রধান উপদেষ্টা করা হবে এমন সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি। বিএনপির মতো প্রতিদ্বন্দ¦ীর  হাতেই আমরা খেলতে চাই। বিএনপির গলায় জোর বেশি, আন্দোলনের মুরোদ কম।

তিনি বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিএনপির অভ্যন্তরিন কোন্দলে বিএনপি নেতার আহত হওয়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের মতো নিজেদের পদ ও চেয়ার নিয়ে আন্দোলন করছি না।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিকে তিনি মামার বাড়ির আবদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্রিটিশ এমপি ও মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের কাছে খালেদা জিয়া মধ্যবর্তী নির্বাচন ভিক্ষা চাচ্ছে। এই লজ্জা রাখি কোথায়?

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, দুদক আওয়ামী লীগের কোন নেতার মামলা প্রত্যাহার করেনি, শুধু সুপারিশ করেছে। আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, দুর্নীতির কোন মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মামলা আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেত্রী আপনিও আদালতে যান। মওদুদ আহমেদ জোট সরকারের আমলে এক কলমের খোঁচায় ৭০ হাজার মামলা প্রত্যাহার করে ছিলেন। জাতি তা ভুলে যায়নি।

তিনি বিএনপি’র উদ্দেশে বলেন, আপনারা কি চান সংসদে এসে বলুন। কোন কাঠামো পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা সংসদেই সিদ্ধান্ত হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ডিজিটাল ডিসিপ্লিন লাগবে। দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এখনো এনালগ সিস্টেমে আছি। সাবেক পদ্ধতি বাদ দিন, বর্তমান নিয়ে কথা বলুন।

শেখ হাসিনাকে আকাশের চাঁদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁকে ঘিরে আমরা অসংখ্য তারা ঘুরপাক খাচ্ছি। সময়ের প্রেক্ষিতে কোন তারা উজ্জ¦ল হয়, কোন তারা কক্ষপথ হারায়। তিনি বলেন, বিশেষণ দিয়ে কোন রাজনীতি হয় না। মানুষের মনের ভয় দুর, ঘরে আলো, ক্ষুধা নিবারণ করতে পারলে আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গলায় বিজয়ের মালা শোভা পাবে।

খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৯ আসনের সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আবদুল হক সবুজ ও উপ-দপ্তর সম্পাদক শহিদুল মিলন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘন্টা, ২৭ মে, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।