ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘রিজভীও খালেদার সঙ্গে থাকবে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪
‘রিজভীও খালেদার সঙ্গে থাকবে না’ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত

ঢাকা: সোমবারের হরতালের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, এমন তামাশার হরতাল ডাকলে রুহুল কবির রিজভীও আর খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকবেন না।
 
মঙ্গলবার দুপুরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।


 
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, এর আগের হরতালগুলোতে রুহুল কবীর রিজভীর সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কিছু নেতা-কর্মীকে দেখা যেত। কিন্তু সোমবারের হরতালে রিজভীর পাশে কাউকে দেখা যায়নি। ম্যাডাম জিয়া এমন তামাশার হরতাল যদি আবার ডাকেন তাহলে রিজভীও তার সঙ্গে থাকবে না। কারণ ও ছাত্র রাজনীতি করে এসেছে। ওরও তো সম্মান আছে। ‘
 
তিনি বলেন,‘জনগণ তো দূরের কথা বিএনপির নেতা-কর্মীরাও খালেদা জিয়ার হরতালে সমর্থন দেয়নি। এমনকি ম্যাডামের পরম বন্ধু জামায়াতও তার ডাকা হরতালে মাঠে নামেনি। ’
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় জনগণ খালেদা জিয়া এবং তার দলকে প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহামানবের পর্যায়ে চলে গেছেন। তাদের নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা আমারও নেই। অথচ ম্যাডাম জিয়া আপনি আপনার ছেলেকে দিয়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটূক্তি করাচ্ছেন। নিজেও ধ্বনি তুলছেন। আমরা তো দূরের কথা বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীও বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি।
 
খালেদা জিয়াকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি আন্দোলনের রাণী নন, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের রাণী। তারপরও আপনাকে নিয়েই আমরা রাজনীতি করবো। এর জন্য আপনাকে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারবেন না, ক্ষমতায়ও বসতে পারবেন না। ’
 
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ‘আন্দোলন জীবনেরই অংশ। তবে সেই আন্দোলনের একটা আর্ট ও বিজ্ঞান আছে। আন্দোলন মানে সহিংসতা নয়। খালেদা জিয়াকে বিষয়টি বুঝতে হবে। ’
 
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঠিক এভাবেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় একটির পর একটি হয়ে যাবে। কেউ এই বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। ’
 
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ উদ্দীন আহমেদ, আসাদুজ্জামান দুর্জয়, আব্দুল হাই কানু, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।