ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির দাবিতে ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা মহানগর ইউনিট দু’টি পৃথক ব্যানারে আজহারের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রায় উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হন তারা।
এ সময় তারা স্লোগান দেন-ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই..রাজাকার আজহারের ফাঁসি চাই।
এদিকে, রায় উপলক্ষে এটিএম আজহারুলকে সকাল ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। তাকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার আজহারের মামলার রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল-১। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেবেন।

সকাল নয়টার দিকে কারাগার থেকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে এনে আজহারকে রাখা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। এর আগে সকাল পৌনে নয়টার দিকে কারাগার থেকে বের করে তাকে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় প্রিজন ভ্যানটি। তার পরনে রয়েছে সাদা রঙের পাঞ্জাবি-পাজামা ও ঘিয়া রঙের সোয়েটার। পুরোটা সময় তাকে চিন্তাযুক্ত দেখাচ্ছিল।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২২৫ ব্যক্তিকে গণহত্যা, ৪ জনকে হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শত শত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর ৩(২)/এ, ৩(২)/সি, ৩(২)/ডি, ৩(২)/জি ও ৩(২)/এইচ এবং ৪/১ ও ৪/২ ধারা অনুসারে গঠন করা এসব অভিযোগের মধ্যে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটিতেও(উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪