ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, মানবিক করিডরের প্রয়োজন আছে কি না, সেই করিডরের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, বা সেখানে কী ধরনের পারাপার হবে-এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউতে এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর পুনর্বাসিত করতে চায় না। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং জাতীয় যুবশক্তিসহ দেশের সব ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষকে আমি বলতে চাই-মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, ফ্যাসিবাদ, জুলুম ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে আমরা রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করেছি। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আইনগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন সময় এসেছে মতাদর্শিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করার। যাতে ফ্যাসিবাদ আর কখনো এ দেশে ফিরে না আসে, সে লক্ষে জাতীয় যুবশক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আন্দোলন সফল হয়েছে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, বাংলাদেশের একটি অংশ ও বিদেশি কিছু কুশিলব সেটি গ্রহণ করতে পারছে না। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়াকে যারা মেনে নিতে পারছে না, তাদেরকে বলতে চাই-আপনারা কী আবার গণহত্যাকারী, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরতান্ত্রিক শক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চান?
অনুষ্ঠানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারী হান্নান মাসাউদসহ জাতীয় যুবশক্তির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএইচ