ঢাকা, বুধবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

রাজশাহীতে মিছিল করেই দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪
রাজশাহীতে মিছিল করেই দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা

রাজশাহী: রাজশাহীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নিষ্প্রাণ হরতাল জনজীবনে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে হরতালের সমর্থনে কেবলমাত্র মিছিল করেই গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন নগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

২০ দলীয় জোটভুক্ত দল জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করলেও, সহিংসতা ঘটাতে মাঠে নামেনি তাদের পিকেটাররা।

আর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি বাকি ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের। রাজশাহীতে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাই কনকনে ঠাণ্ডায় রাজশাহীতে হরতাল পালন হচ্ছে ঢিলেঢালাভাবে। এদিন ভোরে হরতাল শুরুর পর সকালের বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতা-কর্মীদের ভিড় এখন শহরের কাবিল ম্যানসনের কার্যালয়ে। এখন পর্যন্ত হরতালের সমর্থনে কোথাও পিকেটিং লক্ষ্য করা যায়নি।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে মহানগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকা থেকে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি নেতারা। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব ও নগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু এবং সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। মিছিলটি ষষ্টিতলা এলাকা ঘুরে মহিলা কলেজের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সবাই অবস্থান নেন।

এর আগে মহানগরীর উপশহর এলাকা থেকে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া কোর্ট বাজারে ঝটিকা মিছিল করে ছাত্রশিবির কর্মীরা। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যান। এরপর আর কোথাও মিছিলের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সকাল পৌনে ১০টার দিকে মহানগরীর শালবাগান এলাকায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে একটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় হরতাল সমর্থকরা। তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে, রাজশাহীতে ২০ দলের হরতালের কারণে আজ ভাঙচুর ও নাশকতার আশঙ্কায় দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। তবে আন্তঃজেলা রুটের বাস ছাড়তে শুরু করেছে বেলা ১০টার পর থেকে।

এছাড়া বিভিন্ন সড়কে রিকশা, অটোরিকশা মোটরসাইকেল, সিএনজি, হিউম্যান হলার, মিশুক ও টেম্পো মাইক্রেবাসসহ সব হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি ও খুলনাগামী কাপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনসহ বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর এবং লোকাল মেইল ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, সোনাদীঘির মোড়, লক্ষ্মীপুর মোড়, তালাইমারী, গৌরহাঙ্গা রেলগেট, ভদ্রা স্মৃতি অম্লান মোড়, শালগান, সিটি বাইপাসসহ বিভিন্ন স্থানে ভোর থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অব্যাহত রয়েছে পুলিশ ও র‌্যাবের টহল।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন জানিয়েছেন, হরতালে নগরবাসীর নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হরতালের নামে কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে। তবে সকাল থেকে কোথাও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।



বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।