ঢাকা: এ মুহূর্তে শুধু সরকার বা রাজনৈতিক দল নয়, দেশের গণমানুষকেও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, কিছু ঐতিহাসিক সত্য রয়েছে, যা কখনো অস্বীকার করা যাবে না। সময়ের বিবর্তনে হয়তো তার গুরুত্ব কমে যায়।
শনিবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ আয়োজিত গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, এ মুহূর্তে শুধু সরকার বা রাজনৈতিক দল নয়, দেশের গণমানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ঘটনা এবং ৫ আগস্টে দেশের যে পরিবর্তন এসেছিল, তার ৯ মাস পর দেশ এমন পরিস্থিতিতে এসে কীভাবে দাঁড়ালো, আমি জানতে চাই।
তিনি আরও বলেন, একটি কথা রয়েছে, তা হলো গণতন্ত্র একটি খারাপ ব্যবস্থা। কিন্তু গণতন্ত্র ছাড়া আর বাকি সব ব্যবস্থা আরও অনেক বেশি খারাপ। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই ৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রক্রিয়া সঠিকভাবে প্র্যাকটিস করা হলে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ৫ বছর জনগণের সামনে পরীক্ষা দিতে হবে। রাজনীতিবিদদের পরীক্ষা হলো নির্বাচন, সে নির্বাচনে যদি কারচুপি হয়, তাহলে সে পরীক্ষা থেকে বাদ। বলা হয় যে, অনেক নির্বাচনের মাধ্যমেও দেশ নাকি সঠিক পথে আসতে পারেনি। আমি বলতে চাই, বিগত ১৫ বছর দেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি। দোষটা নির্বাচনের নয়, দোষটা তাদের যারা নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কোনো সংবিধানে কিন্তু খারাপ কথা লেখা থাকে না। দেশে ৭২ সালের পর ৭৫ সালে একট সংবিধান এসেছিল। সে সময় সংবিধানে একটি সেকশন যুক্ত করা হয়েছিল, যার ফলাফল ছিল বাকশাল। পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেসব ছুঁড়ে ফেলা দেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সংগঠনের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মাসুম।
ডিএইচ/জেএইচ