ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রচারণা শুরু করলেন মাশরাফি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
প্রচারণা শুরু করলেন মাশরাফি

নড়াইল: হাঁটুর ইঞ্জুরির কারণে এতোদিন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশরীরে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে না পারলেও আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নড়াইলে এসে পৌঁছেছেন নড়াইল ২ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা।

দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি মধুমতী সেতু পার হয়ে নড়াইলে আসেন।

এর মধ্যে দিয়ে তিনি শুরু করলেন আনুষ্ঠানিক প্রচারণা।

এসময় লোহাগড়ার মধুমতী সেতুর পশ্চিম প্রান্তে তার নির্বাচনী এলাকা কালনায় পৌঁছালে দলীয় নেতা-কর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ তাকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে এবং ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

তিনি কালনা সেতু সংলগ্ন লোহাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেন। এরপর তিনি দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা-বেনাপোল মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে আলা মুন্সির মোড়, কুন্দশী সিঅ্যান্ডবি চৌরাস্তায়, উপজেলা পরিষদের সামনে বটতলায়, লক্ষ্মীপাশা তেল পাম্পের পাশে ও এড়েন্দা বাজারে পথসভা শেষে নড়াইলের উদ্দেশে লোহাগড়া ত্যাগ করেন।

পথসভায় মাশরাফি বলেন, প্রথমবার নমিনেশন নিয়ে যখন নড়াইলে আসছিলাম তখন নৌকা করে মধুমতী নদী পার হয়েছিলাম। অথচ আজ এলাম সেতু পার হয়ে। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে। সুতরাং উন্নয়নের এ ধারা বজায় রাখতে আবারো নৌকায় ভোট দিতে হবে। আমি আজ এলাম। আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। কথা হবে। তবে বেশি কথা বলবো না, কথা একটাই আগামী ৭ জানুয়ারি সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম মুন, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম এ হান্নান রুনু, সাবেক ছাত্রনেতা ও কলাবাড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান কয়েস, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী বশিরুল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক ও আউড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম পলাশ, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সহ- সভাপতি ফয়জুল হক রোম, সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র সৈয়দ মসিয়ুর রহমান, সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম, লোহাগড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন মুন্না, জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি সঞ্চিতা হক রিক্তা, সহ সভাপতি রোজিয়া সুলতানা চামেলীসহ বিভিন্ন সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

এরপর নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিনালে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে আসেন। সেখানে তাকে আরেক দফা ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সন্ধ্যায় তিনি নিজ গ্রামের বাড়ি মাইজপাড়াতে চলে যান। সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় উপস্থিত হবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত এক মাস ধরে হাঁটুর ব্যথা বাড়লেও বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মাশরাফি। ১৩ ডিসেম্বর হাঁটুতে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে অর্থোপেডিক্স চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকাতে নিয়মিত থেরাপি নিয়েছেন তিনি। সে কারণে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে দেরি হয়েছে।

নড়াইল-২ আসনে মাশরাফির নৌকার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনিরুল ইসলাম (আম), জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান (লাঙল), গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান (মাছ) এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান (মিনার)।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।