ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়িসংক্রান্ত মামলার রায় ১৩ অক্টোবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১০
খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়িসংক্রান্ত মামলার রায় ১৩ অক্টোবর

ঢাকা: ২২ দিন শুনানি শেষে বিএনপি চেয়ারপরসন ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়িসংক্রান্ত মামলার রায়ের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আগামী ১৩ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।



বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভা আইনগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়িটির ইজারা বাতিল করে। এরপর ২০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ১৫ দিনের মধ্যে তার সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেয় সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তর।

এর পরিপ্রেেিত ওই বছর ২৩ এপ্রিল সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার নোটিশ পাঁচ দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সরকার, সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরকে উকিল নোটিশ পাঠান খালেদা জিয়া।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার পর তার বিধবা স্ত্রী খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের এই বাড়িটি ছাড়াও গুলশানে একটি বাড়ি দেয় তৎকালীন সরকার।

এর আগে সেনানিবাসের ৬ নম্বর মঈনুল রোডের বাড়িটি আগে সেনাপ্রধানের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

খালেদা জিয়াকে দেওয়া নোটিশের কার্যকারিতার সময়সীমা এরইমধ্যে পাঁচবার বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার শুনানিতে অংশ নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার টি এইচ খান।

এ সময় তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ খালেদা জিয়ার এ বাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি ত্রুটিও দেখাতে পারেনি।

তিনি বলেন, জনাব অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার শুনানিতে বলেছিলেন, বাড়িটি ‘এ’ ক্যাটাগরির। অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য অনুযায়ী এই বাড়ি ইজারা দেওয়া যায় না। অথচ বাড়ির নথিপত্রে দেখা গিয়েছে এটি ‘বি’ ক্যাটাগরির বাড়ি।

অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং সামরিক ভূমি অধিদপ্তর যাচাই করার পরই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বাড়িটি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৩০ বছর এ বাড়িতে আছেন। এর আওয়ামী লীগের আগের আমলেও এ বাড়ি বরাদ্দ বাতিলের জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা তখন ব্যর্থ হয়েছিল। এবার ক্ষমতায় আসার পর অসৎ উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়াকে জনসম্মুখে হেয় করার জন্য এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

টি এইচ খান বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল তার বক্তব্যে বলেছেন, এ বাড়িতে রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালিত হয়। কিন্তু এ বাড়ির বরাদ্দের সময় রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ করে কোনো শর্তারোপ করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ০৬ অক্টোবর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।