ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সরকার দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে চাচ্ছে: দুদু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
সরকার দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে চাচ্ছে: দুদু

ঢাকা: সরকার দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।  

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইন বাতিল, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার, দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক দিনকালসহ সব বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার দেশের জনগণকে ভয় দেখিয়ে ঘরে রাখতে চাচ্ছে। আর সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে তাদের লেখার, বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী সরকারের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক কোনো কিছু আশা করা যায় না।  

অন্ধকার যুগ মনে হয় আবার ফিরে এসেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ১০ থেকে ১৫ বছর দেশে একটি শ্বাসরুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু মতিউর রহমানের ওপর প্রথম আক্রমণ আসেনি। মাহমুদুর রহমানের ওপর আক্রমণ এসেছে। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক শফিক রেহমানের ওপর আক্রমণ এসেছে। তিনি এমন আক্রমণের শিকার হয়েছেন যে এ বৃদ্ধ বয়সে দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে হয়েছে। তারপর পত্রিকা বন্ধ। আমার দেশ পত্রিকা, দিনকাল, দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম দেখলে সেই বাকশালের কথা মনে পড়ে যায়। যখন চারটি পত্রিকা রেখে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এক নেতার এক দেশ করা হয়েছিল। সে ছাড়া আর কেউ নেতা হতে পারবে না। আর কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না, দেশে কোনো সংবাদ মাধ্যম থাকবে না। সেই অন্ধকার যুগ যেন আবার ফিরে এসেছে।

ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, এদেশ যে জন্য স্বাধীন করা হয়েছিল সবকিছু আজ পদদলিত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন একটি দলের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রশাসন যেন একটি দলের প্রশাসন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সারা জীবন গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করে এসেছে। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সম্মতি স্বৈরতন্ত্রের পক্ষ নিয়েছে। আমাদের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তাদের সংগঠন এ স্বৈরতন্ত্রের সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বিবৃতি দিচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ থেকে বলা হয়েছে ডিজিটাল আইন বাতিল করুন। আর আমাদের গণতান্ত্রিক সরকার ও গণতান্ত্রিক আইনমন্ত্রী বলেছেন, এটা বাতিল করার প্রয়োজন নেই। মানুষ খেতে পাচ্ছে না। কাজ নেই, চাকরি নেই। আর এ কথা মানুষ বলতে পারবে না। আর বললেও সাংবাদিকরা লিখতে পারবে না। কী ভয়ংকর ব্যাপার।

সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, বাছির জামাল, রাশিদুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
ইএসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।