ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

রাস্তায় নয়, জট ছিল নিউজরুমে

শেখ নাসির হোসেন, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১১
রাস্তায় নয়, জট ছিল নিউজরুমে

ঢাকা: প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ডাকা রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ঢাকা শহর অনেকটাই ফাঁকা ছিল। রাস্তায় ছিল না যানবহন কিংবা মানুষের জট ছিল তুলনামুলকভাবে অনেক কম।



যানজটহীন রাস্তায় অফিসে পৌঁছে দেখি জট থেকে রেহাই নেই। সেখানে নিউজের জট। সাধারণত অন্যদিনের তুলনায় হরতারের দিন সংবাদকর্মীদের ওপর চাপএকটু বেশি থাকে।

রোববার রাত ১০টা নাগাদ বাংলানিউজের খবর রিলিজ হয় ২২৫টি। এত নিউজের চাপে জটতো লাগবেই।     

অফিসে ঢুকেই যে ধাক্কাটা খাই তা হচ্ছে কম্পিউটার স্বল্পতা। অর্থাৎ আমার বসার ডেস্ক ফাঁকা নেই। তাই বলে এটা মনে করার কোনও সুযোগ নেই যে বাংলানিউজে কম্পিউটার স্বল্পতা আছে। হরতাল তাই অনেকেই তাদের নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় কাজ করছে। তাই দেখা দিয়েছে কম্পিউটার স্বল্পতা।

হরতালের দিন একটু বেশি নিউজ দিতে হয় অন লাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোকে। আর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম তো সব অনলাইন মাধ্যমগুলোর চেয়ে এগিয়ে। সংবাদ আপডেট করার ক্ষেত্রে এই সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা একটু বেশি সচেতন। তারা সব সময় চেষ্টা করে সবার আগে সকলের কাছে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবশন করতে।

অফিসে আসার পর রিপোর্টারদের একের পর এক কল আসছে। সবাই চাচ্ছে তার নিউজটা যেন আগে নেওয়া হয়। সবার আগে আপলোড হয়। কিন্তু আমাদের নিউজের গুরুত্ব বুঝে নিউজ রিলিজ করতে হচ্ছে। রোববার হরতালের দিন আমি সবচেয়ে বেশি রিপোর্ট রিলিজ করেছি আমাদের ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট আনোয়ারুল করিম রাজু ভাইয়ের। তিনি অনেক সুন্দর কাজ করেন। সব সময় চেষ্টা করেন দ্রুত নিউজ দিতে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট আনোয়ারুল করিম রাজু বলেন, ই-মেইলে নিউজ দেওয়ার পরে সাথে সাথে নিউজ আপ হয়েছে। এতে আমি খুশি। তবে হরতালের দিন নিউজরুম এডিটরদের ওপর চাপ একটু বেশিই পরে। তারা একের পর এক নিউজ ছাড়ছে। আমরা রিপোর্টাররা মাঝে মাঝে বুঝতে চাই না এই সংবাদ মাধ্যমের পেছনে থেকে যারা কাজ করছেন তাদের ওপর বেশি চাপ পড়ছে।
 
হরতাল সম্পর্কে তিনি বলেন, সরাদিন অমি আজ সচিবালয়ে ছিলাম। হরতাল হওয়ার কারণে সচিবালয়ে বাইরের লোকজন কম ছিল। তবে অফিস প্রতিদিনকার মতো চলেছে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, হরতালের দিন কাজের চাপ একটু বেশি ছিল। আর এ দিন আমার ছিল অফিস ডিউটি। এ দিনে একটু চাপেই ছিলাম। ডেস্কের একটি আইপি ফোন, নিজের ব্যাক্তিগত একটি এবং আরেকটি ফোন যাতে সাধারণত হরতালে কর্মরত রিপোর্টাররা ফোন দিয়ে নিউজ দেন, এই তিনটি নিয়ে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে।

অনেক সময় একজনকে লাইনে রেখে আরেক জনকে বলেছি ভাই ফোন দিচ্ছি।

ভালো লেগেছে, সকলেই নিজের নিউজটি আগে দিতে চান। যার জন্য অফিসের ফোন ব্যস্ত পেলে ব্যাক্তিগত ফোনেও অনুরোধ করতে পিছপা হননা।

বাংলদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।