ঢাকা, রবিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩২, ০৪ মে ২০২৫, ০৬ জিলকদ ১৪৪৬

অফবিট

হরিণে-কুমিরে মিতালি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩০, অক্টোবর ১, ২০১৬
হরিণে-কুমিরে মিতালি!

‘বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খায়’-এমন প্রবাদ আমরা পড়েছি, শুনেছি। কিন্তু বাস্তবে বাঘে-মহিষের সখ্য বা বন্ধুত্ব কে কখন দেখেছে! মাংসাশী প্রাণীর সঙ্গে তৃণভোজীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রকৃতিতে নেই বললেই চলে।

রূপকাহিনি বা কল্পকাহিনিতেই কেবল এমন দেখা যায়। কিন্তু কখনো কখনো রূপকথার কল্প কাহিনিকেও হার মানায় বাস্তব। নইলে কী আর বলা হয়: ‘ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন’। হ্যাঁ, তেমন ঘটনাই প্রতিদিন ঘটছে। কুমির আর হরিণের সখ্য আর বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানও যে সম্ভব সেটাই দেখা গেছে ভারতে। তেমনটাই প্রতিদিন ঘটছে। মুম্বাইয়ের একটি চিড়িয়াখানায় হরিণ আর কুমির রীতিমতো মিতালি পাতিয়ে বসে আছে। চিড়িয়াখানাটির নাম বাইকুল্লা জু (Byculla zoo)।

এই চিড়িয়াখানায় হরিণেরা কুমির দেখে ভয়ে পালিয়ে তো যায়ই না, বরং কুমিরের পাশে আয়েশি ভঙ্গিতে শুয়ে থাকে, জলপান করে। এক বা দু’বছর ধরে নয়, কুমিরে-হরিণে এই বিরল মিতালি চলে আসছে বহু-বহু বছর ধরে। হরিণকে নাগালের মধ্যে পেয়েও কুমির ওদের গায়ে আঁচড়টি পর্যন্ত বসায় না। আগ্রাসনের বদলে শান্ত-সুবোধ চিত্তে হরিণের সঙ্গ উপভোগ করে এরা। বলা যায়, চিড়িয়াখানাটিকে ওরা রীতিমতো শান্তি ও সহাবস্থানের স্বর্গ বানিয়ে ফেলেছে।

ছবিতে দেখুন চিড়িয়াখানার জলাশয়টির কিনারে অলস ভঙ্গিমায় শুয়ে আছে দুটো বড় কুমির। আর দুটো শম্বর হরিণ সেখানে হাজির হয়েছে জলপান করতে। একটি শম্বর হরিণ জলপান শেষে একটুখানি জিরিয়ে নিতে বড় কুমিরটির গা ঘেঁষে শুয়ে জাবর কাটছে। অন্য একটি হরিণ জলপান করে চলেছে। হরিণ ও কুমিরগুলোর পাশে এসে জুটেছে কয়েকটি কানিবক। আর মাছ ধরার আশায় জলে দাঁড়িয়ে আছে একটি সাদা বক।

চিড়িয়াখানার পরিচালক সঞ্জয় ত্রিপাঠী জানান, চিড়িয়াখানাতেই জন্ম হয়েছে হরিণ দুটোর। আর কুমির দুটোকে এখানে আনা হয় বাইরে থেকে। কুমির দুটো তখন ছিল খুবই ছোট। এ পর্যন্ত কুমির দুটো কখনোই হরিণযুগলের ওপর কোনো হামলা চালায়নি। আমাদের চিড়িয়াখানায় কুমিরের জন্য প্রচুর মাছ রয়েছে। এছাড়া আমরা নিজেরাও ওদেরকে প্রচুর মাছ খেতে দিই।    

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৬
জেএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।