ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দিনাজপুরে অপহৃত কলেজছাত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
দিনাজপুরে অপহৃত কলেজছাত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ৫

দিনাজপুর: দিনাজপুরে সাকিব হোসেন (২০) নামে অপহরণের শিকার এক কলেজছাত্রকে উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতারসহ পাঁচটি মোবাইল ও তাদের ব্যবহৃত দুটি মোটসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) অপহৃত সাকিব হোসেনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় মাঠ থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।

এ ঘটনায় রাতে সাকিবের বাবা বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে দিনাজপুর কাহারোল উপজেলার কান্তনগর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাঁচজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার ও অপহরণ কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন এবং দুইটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

অপহৃত সাকিব হোসেন সদর উপজেলার পুলহাট এলাকার মোসলেম আলীর ছেলে।

গ্রেফতাররা হলেন- দিনাজপুর পৌর শহরের বালুবাড়ী পশু হাসপাতাল মোড় এলাকার আইনুল ইসলামের ছেলে সজীব রহমান বাঁধন (২০),  উত্তর বালুবাড়ী এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি (২৪), বালুবাড়ী ভূমি অফিস সংলগ্ন আমিনুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম আপন (১৯), সুইহারী এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে আফতাহী ঈবনে সাফাত (১৯) এবং রাজবাটী এলাকার হাকিমের ছেলে আশিফ রহমান (২১)।

গ্রেফতার অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

কোতয়ালী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ইব্রাহিম নামে এক কিশোর থানায় এসে তার মামাকে বড়মাঠ থেকে কয়েকজন ছেলে অপহরণ করার বিষয়টি জানায়। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনার পর প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত সাকিব হোসেনকে উদ্ধার করি। কাহারোল থানা পুলিশের সহায়তায় কান্তজীউ মন্দির এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাঁচজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

সাকিবের বাবা মোসলেম আলী বলেন, আমার ছেলে গতকাল মোটরসাইকেল নিয়ে বড়মাঠে আসে। পরে তার মটরসাইকেল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তার ওপর পাঁচজন আক্রমন করে এবং বাইকে করে তুলে নিয়ে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

তিনি আরও বলেন, পরে অপহরণকারীরা আমাদের কাছে টাকা দাবী করে বলে, টাকা দিলে আপনার ছেলেকে ছেড়ে দেব। নইলে মেরে ফেলে লাশ গুম করে দেব। এরপর আমি থানায় সহযোগীতা চাই। তারা আমার ছেলেকে উদ্ধার করে দেয়। আমি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করি। যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা হয়তো এগুলো করেই চলে। আমি এদের উচিৎ শাস্তি দাবি করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।