ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডাটাবেজ ধরে ঘৃণ্য অপরাধীদের নজরদারিতে রাখা হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
ডাটাবেজ ধরে ঘৃণ্য অপরাধীদের নজরদারিতে রাখা হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

ঢাকা: অপরাধীদের একটি ডাটাবেজ হয়েছে। সেগুলো দেখে ঘৃণ্য অপরাধে জড়িতদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সুযোগ্য নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। এর আগে ঈদুল আজহাও আল্লাহর রহমতে সফলভাবে শেষ হয়েছে। অতীতের মতো এবারও তেমন যানজট ছিল না।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উৎকণ্ঠা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ সীমান্ত এলাকায় তাদের অপতৎপরতা নিয়ে সরকার সচেতন আছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল লোক আছে। যারা মাদক কারবারে জড়িত। মাদক আনা, পাচার করা বা সরবরাহ করছে তারা। সেগুলোর ওপর আরও বেশি কঠোর নজরদারি রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে মাদক আসা বন্ধে কঠোর হবে। যাতে মাদক দেশের ভেতরে আসতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। অপরাধীদের ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে। যাতে সেগুলো দেখে ঘৃণ্য অপরাধীদের ওপর যাতে সবসময় গোয়েন্দ নজরদারি রাখা যায় সেই ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রাত্রিকালীন টহল আরও বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদকের প্রবেশ দ্বারগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। কিছু লোক হঠাৎ উধাও হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা ধর্মের নামে উন্মাদনা সৃষ্টির সঙ্গে যেসব সংগঠন জড়িত তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ করা হয়েছে। তাদের কিছু লোককে ধরাও হয়েছে। ধরাপড়ারা স্বীকার করেছেন যে, তারা ওই কানেকশনেই যাচ্ছিলেন। কাজেই ওই উৎস খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে অনেকটা চিহ্নিতও হয়েছে কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকার সবসময় সচেতন আছে।

ওষুধ ও খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্টের তৎপরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আলাদা আলাদাভাবে কাজ করে। বাহিনীগুলোর তদন্ত কাজ-ডাটাবেইজ একটি ছাতার নিচে আনার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই, কাজ যাতে সমন্বিতভাবে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সমন্বয়টা সময় মতো হয় না, আদান-প্রদান হয় না। যাতে আরও সমন্বিতভাবে কাজ করা যায়, সেই ব্যাপারে দায়িত্বে যারা আছেন তাদের পরমর্শ দেওয়া হয়েছে।

>>> আরও পড়ুন: বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।