ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে: তাপস

ঢাকা: সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
                       
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কালু নগর স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    

তাপস বলেন, আমরা নাম নিয়ে চিন্তিত না। নাম আমাদের কাছে বিষয় না। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, এখানে ১০ তলা ভবন হয়ে গেছে। আজ (১২ অক্টোবর) থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে। আগামী বুধবার (১৯ অক্টোবর)আবার পরিদর্শনে আসব। আশা করি যে অংশটা খালের মধ্যে বা নদীর মধ্যে পড়েছে সেটা থাকবে না। সুতরাং সবাইকে অবৈধ দখল করা জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। এতদিন যে দখল করে রেখেছিল, সেটা এখন থেকে ছেড়ে দিতে হবে। আর যদি না ছাড়ে, তাহলে আমরা এটা ভেঙে দেব।

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে এই সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারে আমরা বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। আমরা এরই মাঝে খনন কাজ শুরু করেছি। আজকে থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে আমাদের জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, আমাদের সম্পত্তি বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থাসহ সবাই যৌথভাবে পরিমাপ করছি। সীমানা চিহ্নিত করেছি। আজকে থেকেই আমরা সেই সীমানা চিহ্নিতকরণ এবং স্থায়ীভাবে সীমানা পিলার লাগিয়ে দেব। আমরা আশাবাদী, এই কার্যক্রম ইনশাআল্লাহ অচিরেই দৃশ্যমান হবে এবং আদি বুড়িগঙ্গা তার আগের অবস্থান ফিরে পাবে।

স্থায়ীভাবে আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধার করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, আদি বুড়িগঙ্গার সিএস এবং অন্যান্য নকশা অনুযায়ী নদীর অববাহিকা বা নদীর সীমানা যেখানে বেশি আছে আমরা সেটাকে ধরছি। সেটাকেই ধরে আমরা সব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করব। সেখানে নদীর অববাহিকা ও নদীর গতিপথ সৃষ্টি করে আমরা তার পাশ দিয়ে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। যাতে করে মানুষজন হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে চলাফেরা করতে পারে। আমরা গণপরিসর প্রতিষ্ঠা করব যাতে করে মানুষজন নদীকে উপভোগ করতে পারে এবং ঢাকার অতীতের সেই প্রতিচ্ছবি ফিরে আসে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের কারণে আশ্বিন মাসের ২৭ তারিখ হওয়া সত্ত্বেও আজ বৃষ্টি হচ্ছে। এখনো আমরা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। যার কারণে আমরা লক্ষ্য করছি যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনো রয়েছে। গত ১০ অক্টোবরের হিসেব অনুযায়ী সারাদেশে মোট ৬৪২  জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে মাত্র ৪০ জন  ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। সুতরাং আমাদের সার্বক্ষণিক যে কার্যক্রম চলছে, তাতে আমরা ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। ডেঙ্গু সম্পপূর্ণ রূপে নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাব।

এর আগে, মেয়র ডগাইর এলাকায় দক্ষিণ সিটির ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন করেন।
   
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রমুখ।
                 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
এমএমআই/এইচএমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।