ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় প্রেসক্লাবের প্রয়াত ১৬ সদস্যকে স্মরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২২
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় প্রেসক্লাবের প্রয়াত ১৬ সদস্যকে স্মরণ

ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক বাংলার সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য তোয়াব খান ও সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনসহ প্রয়াত ১৬ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, করোনা অতিমারির ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই গত এক বছরে আমরা হারিয়েছি আরও অনেক স্বজন, সুহৃদ-সহযোগীকে। সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধির ধারাবাহিক যে চর্চা ও প্রয়াস, সেই অভিযাত্রার অগ্রসৈনিক ছিলেন তাদের অনেকে।

তিনি বলেন,আমাদের প্রিয় সেকেণ্ড হোম জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। যারা ইন্তেকাল করেছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রুহের মাগফেরাতের জন্য পরম করুণাময়ের দরবারে প্রার্থনা করি।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এ স্মরণ সভার আয়োজনের কথা যখন চিন্তা করেছিলাম, জানতাম না এখানে তোয়াব খানের নামও যুক্ত হবে। তিনি কখনোই বৃদ্ধ হননি। তার কর্মকাণ্ড ছিল তরুণ। যার প্রমাণ শেষ বয়সে এসেও তিনি পত্রিকা বের করেছেন। একই সঙ্গে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন প্রেসক্লাবের চার বারের সভাপতি। সাংবাদিকদের রুটি রুজির সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন। একবার অভিমান করে প্রেসক্লাবে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। খুব বেশি দিন রাগ করে থাকতে পারেননি। যার মূলে ছিল, তিনি সাংবাদিকতাকে ভালোবাসতেন। ভালোবাসতেন আশপাশের মানুষগুলোকে।

এ সময় জাতীয় প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, করোনা-দুঃসময়ে অন্যসব পেশার মত সাংবাদিকতা পেশায়ও অস্বাভাবিক ওলটপালট ও বিপর্যয় ঘটেছিল। জীবিকার অনিশ্চয়তার পাশাপাশি সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনযাপন করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার চাপ সামলাতে না পেরে অনেকের মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়েছে। গত এক বছরে আমরা হারিয়েছি ক্লাবের আজীবন সদস্য, সাংবাদিক সম্প্রদায়ের অভিভাবক ও বাতিঘর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক তোয়াব খান, ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বরেণ্য গীতিকার ও কবি কে জি মোস্তফাসহ মোট ১৬ জন সুহৃদ সদস্যকে।

তিনি বলেন, অনন্তলোকে যারা চলে গেছেন, তাদের আত্মীয়-পরিজনের প্রতি আমাদের গভীর আন্তরিক সমবেদনা। তাদের প্রিয়জন হারানোর যে মনকষ্ট, তার অংশীদার আমরাও। আত্মীয় বিয়োগের আঘাত ও প্রবল শোক সহ্য করার মত শক্তি ও ধৈর্য যেন আল্লাহ তাদের দান করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই লগ্নে আমাদের যে সাথীরা এখন অবর্তমান, আমরা মনে করি, তাদের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা, আদর্শ ও অবদান আমাদের সঙ্গে সব সময় রয়েছে। সেই উজ্জ্বল স্মৃতির পাথেয় সম্বল করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।

জাতীয় প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য তোয়াব খান, সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, গীতিকার কবি কে জি মোস্তফা, এস. এম. শওকত হোসেন, রাজা সিরাজ, মো. শামীম মাশরেকী, সৈয়দ আকরাম, খন্দকার আনিছুর রহমান, পীর হাবিবুর রহমান, শামসুল আলম বেলাল, সাগর বিশ্বাস, এএম মুফাজ্জল,এইচ এম জালাল আহমেদ, আবুল বাশার নূরু, শফিকুল ইসলাম ইউনূস, গিয়াস উদ্দিন আহমেদের স্মৃতির স্মরণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণ সভায় তাদের পরিবারের সদস্য সহ সাবেক-বর্তমান সহকর্মী, সাংবাদিক নেতাসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ০৮ অক্টোবর, ২০২২
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।