ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কিশোরীকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে ধর্ষণ, চালক গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২২
কিশোরীকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে ধর্ষণ, চালক গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় জীবন মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি অ্যাম্বুলেন্সটির চালক।

গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার বোর্ডিং মাঠ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় জীবন মিয়াকে।

জানা গেছে, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার জীবন শহরের পশ্চিম মেড্ডার মৌবাগের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে শনিবার (১ অক্টোবর) ভুক্তভোগীর নানী সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ধর্ষণের শিকার কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর বাবা-মা সঙ্গে না থাকায় তাকে তার নানী লালন-পালন করেছেন। গত কয়েক মাস ধরে ওই কিশোরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরের পশ্চিম মেড্ডায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করছিল। ঘটনার রাতে সে অভিমান করে গৃহকর্তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় ওই বাড়ির সামনে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন জীবন মিয়া। সেখানেই কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নেন তিনি। পরে শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার বোর্ডিং মাঠের কাছে নিয়ে খুনের হুমকি দেন। কিশোরী ভয় পেয়ে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন জীবন।

ঘটনার পর ভুক্তভোগীকে সদর উপজেলার সিও অফিস এলাকায় নামিয়ে দেন জীবন। এ সময় তাকে অসুস্থ দেখে স্থানীয়রা কারণ জানতে চান। কিশোরী বর্ণনা করলে তারা বিষয়টি মেড্ডার টহলরত পুলিশকে জানান। পরে তাদের সহায়তায় ওই রাতেই জীবনকে আটক করে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, ভুক্তভোগীর নানীর দায়ের করা মামলায় অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শনিবার দুপুরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। একই দিন জীবনকে আদলতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।