ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লাল চিহ্নিত সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদ শুরু আগামী সপ্তাহে: তাপস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
লাল চিহ্নিত সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদ শুরু আগামী সপ্তাহে: তাপস

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে রাজধানীর অতি গুরুত্বপূর্ণ লাল চিহ্নিত সড়কে হাঁটার পথে আমরা আর হকার বসতে দেব না। এসব সড়কে শুরু হবে হকার উচ্ছেদ অভিযান।

   

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বহুতল বিপনি বিতান নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ১০ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক বিপণি-বিতান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।   আজকে সেটার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। এটা হকার ভাই-বোনদের দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার ফসল এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিপণি-বিতান। দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে এটা করা হয়নি। আজকে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে এর ভিত্তিপ্রস্ত স্থাপন করতে পারলাম। আমরা আশাবাদী আগামী দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারব। অত্রএলাকার হকারদের জন্য অত্যন্ত বড় মার্কেট হবে। তারা এখানে তাদের কার্যক্রম সুন্দরভাবে, সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে।

তিনি বলেন, এই ১০ তলা মার্কেটে হকারদের আমরা পুনর্বাসন করব। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহ থেকে নির্দিষ্ট সড়ক বা রাস্তা চিহ্নিত করব। অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোকে লাল, হলুদ ও সবুজ রঙ দিয়ে চিহ্নিত করব। লাল চিহ্নিত সড়কে হাঁটার পথে আমরা আর হকার বসতে দেব না। আগামী সপ্তাহ থেকে লাল চিহ্নিত সড়ক থেকে হকার সরানোর অভিযান শুরু করব।

ঢাকা শহরের খেলার মাঠ দখলের বিরুদ্ধে আর কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা জানতে চাইলে মেয়র তাপস বলেন, আমার নজরে এরকম কোনো অভিযোগ আসেনি। সুনির্দিষ্ট করে অভিযোগ দেন। আমরা অনেক প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বকশিবাজার খেলার মাঠ সংস্কার করেছি। সেটি শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে। আরও কয়েকটি খেলার মাঠ সংস্কারের কার্যক্রম চলছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়, যে কোনো খেলার মাঠ, তা সরকারি কোনো সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা কোনো স্বার্থান্বেষী মহল দখলের চেষ্টা করছে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে আগামীতে কী পরিকল্পনা আছে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট উচ্ছেদ অভিযান করছি। যেমন কদমতলী, শ্যামপুর এলাকায় ১৫৬ কোটি টাকার নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণ করেছি। যেখানে কোমর পর্যন্ত ময়লা পানি থাকতো, শ্রমিকদের কাজ করতে অসুবিধা হতো। রাজউক শিল্পাঞ্চল করার পর এ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার করেছি, এখন চাইলে সেখানে উড়োজাহাজ নামানো যাবে, সেরকম অবস্থা হয়ে গেছে। সুপ্রশস্থ সড়কসহ হাঁটার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুতরাং আমরা যে রাস্তাটি করছি সেখানে হাঁটার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আমরা রাখছি।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আপনারা জানেন প্রতি বুধবার আমরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে বের হই। সে ধারাবাহিকতায় মুগদায় আফিলউদ্দিন সামাজিক কেন্দ্র সেটা সংস্কারের জন্য পরিদর্শনে বের হয়েছি। এখন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে একটি বিপণি বিতানের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলাম। এখান থেকে নিমতলী এলাকায় রাস্তা প্রশস্থের কাজ শুরু করেছি সেটা পরিদর্শনে যাব। আদি বুড়িগঙ্গায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি। দীর্ঘদিন পর (৫০ বছর) আদি বুড়িগঙ্গা পানিতে টলমল করছে। কাজটিকে কীভাবে গতিশীল ও বেগবান করা যায় সেটা পরিদর্শনে যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।