ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে চরাঞ্চলে শুরু হচ্ছে ড্রেজিং

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে চরাঞ্চলে শুরু হচ্ছে ড্রেজিং

রাজশাহী: পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চরাঞ্চলে ড্রেজিং করতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ উপজেলার আলাইপুর থেকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদী খননের কাজ এক মাসের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে।

এরইমধ্যে চরাঞ্চল পরিদর্শন করেছেন পাউবো কর্মকর্তারা।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার তীর রক্ষার্থে প্রস্তাবিত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ অর্থাৎ টি-বাঁধ ও আই-বাঁধের মতো করে এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এজন্য তাদের একটি দল এরইমধ্যে বাঘায় গিয়ে এ চরাঞ্চল এলাকাও পরিদর্শন করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, নদীর ড্রেজিং অর্থাৎ খনন কাজ শেষ হলে এ পয়েন্টে পদ্মা নদী আবারও নাব্যতা ফিরে পাবে, মূল স্রোতধারা নদীর কেন্দ্র বরাবর প্রবাহিত হবে। এতে ভাঙন অনেকাংশে কমে আসবে। এর সঙ্গে পদ্মা তীর রক্ষার্থে স্থায়ী বাঁধ, স্পার, টি-বাঁধ, আই-বাঁধ নির্মাণ হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, রাজশাহীর চারঘাটের ইউসুফপুর থেকে শুরু হয়ে বাঘা উপজেলার আলাইপুর হয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদী ড্রেজিংয়ের কাজ করা হবে। এছাড়া ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে চারঘাট ও বাঘা উপজেলার পদ্মার বাম তীরের স্থাপনাসমূহে নদী ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাজশাহীর এ দুই উপজেলায় ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯টি প্যাকেজের কাজ চলছে। এরমধ্যে ১১টি প্যাকেজ প্রটেকশন ব্লকের ও ৮টি প্যাকেজ নদী ড্রেজিংয়ের কাজ রয়েছে। নদী শাসনের জন্য ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের মধ্যে বাঘার ১২ কিলোমিটার নদী ড্রেজিংও রয়েছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ডি এম বাবুল মনোয়ার বলেন, পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে ৮ মাসের মধ্যে প্রায় আড়াইশ’ মানুষের বাড়ি-ঘর ও কৃষি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এখন আবারও পদ্মায় পানি বাড়ছে। তার সঙ্গে ভাঙনও চলছে। পদ্মা তীর রক্ষায় কাজ শুরু হলে নদী ভাঙন কমে আসবে। চকরাজাপুরবাসী নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।