ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাসে ডাকাতি-গণধর্ষণ

গ্রেফতাররা মহাসড়কে ট্রাক-পিকআপভ্যানে ডাকাতি করত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
গ্রেফতাররা মহাসড়কে ট্রাক-পিকআপভ্যানে ডাকাতি করত গ্রেফতাররা।

টাঙ্গাইল: কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহনের বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা মহাসড়কে মুরগির ডিম ও গ্যাস সিলিন্ডার বহনকৃত গাড়িসহ ছোট ছোট ডাকাতির কাজে জড়িত ছিল। তবে তারা ট্রাক বা পিকআপভ্যানে থাকা ডিম ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলেও বহনকৃত গাড়ি তারা বিক্রি করতো না।

 

ঘটনার দিনও তারা এ ধরনের ডাকাতি করার জন্য বের হয়েছিল। কিন্তু ডাকাতি করার মতো ডিম ও গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি কোনো গাড়ি না পাওয়ায় তারা বাসে ডাকাতি করার চিন্তা করেন। তবে বাস ডাকাতি এত বড় ঘটনায় মোড় নেবে ডাকাতির আগে তারা কল্পনাও করেনি।  

গ্রেফতার রাজা মিয়া, আব্দুল আউয়াল ও নুরনবী পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছে বলে বিষয়টি পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে মামলার বাকি চিহ্নিত আসামীদেরও গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে শনিবার রাতে গ্রেফতার তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রাজা মিয়া ঈগল পরিবহনের বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ উভয় অপরাধে অংশ নেন। অপর দুই আসামি আউয়াল ও নুরনবী শুধু লুণ্ঠনে অংশ নেন। পরে তাদের তিনজনকেই রাত সাড়ে ৮টায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে বুধবার মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা করেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজা মিয়াকে (৩২) গত বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আব্দুল আউয়াল (৩০) ও নুরনবীকে (২৬) শুক্রবার সকালে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। রাজা মিয়াকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, তারা ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার পুরো বিবরণ এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেছে। তারা আদালতে জবানবন্দি দিতেও সম্মত হয়। পরে তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজা মিয়া ও নুরুনবীর জবানবন্দি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল আলম লিপিবদ্ধ করেন। আব্দুল আউয়ালের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমী খাতুন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, আসামি রাজা মিয়া ধর্ষণ এবং লুণ্ঠন উভয় অপরাধে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। অপর দুইজন আউয়াল ও নুরনবী জবানবন্দিতে শুধু ডাকাতিতে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।