ঢাকা: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম (সিবিভিএমপি) সল্যুশনের সঙ্গে অর্থ বিভাগ থেকে বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ: অগ্রাধিকার কার্যক্রমসমূহের ধারাবাহিকতা রক্ষা (পিইএমএস)’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় প্রণীত ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড একাউন্টটিং সিস্টেম (আইবাস++) এর ইন্ট্রিগ্রেশনের জন্য একটি একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
রোববার (২৪ জুলাই) বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জে. মো. নাসিম পারভেজ এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমা মোবারক স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, অর্থ বিভাগের আওতাধীন স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট গ্রোগ্রাম টু এনাল সার্ভিস ডেলিভারি (এসপিএফএমএস) প্রোগ্রামের আওতায়ভূক্ত জিটুপি পদ্ধতিতে বিভিন্ন উপকারভোগীর মোবাইল একাউন্টে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর মাধ্যমে সরাসরি অর্থ প্রেরণের জন্য গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে নিবন্ধনকৃত মোবাইল নম্বর যাচাই করতে বিটিআরসি’র সিবিভিএমপির সাথে আইবাস++ এর ইন্টিগ্রেশন করা হবে।
এছাড়া, আইবাস++ এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন উপকারভোগীর (করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকারভোগী, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন, পেনশনারদের পেনশন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি) মোবাইল একাউন্টে ইএফটি এর মাধ্যমে সরাসরি নির্ভুলভাবে অর্থ প্রেরণের জন্য গ্রাহকের এনআইডির সাথে নিবন্ধনকৃত মোবাইল নম্বর যাচাই করা হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হলো ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে দেশ থেকে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূর করা এবং জনগণের মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণ করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থায় দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পাদন এবং নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল সিস্টেম এবং সার্ভিস উদ্ভাবনের কাজ চলমান রয়েছে। অর্থ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত আইবাস++ এবং সিবিভিএমপি সিস্টেমের মাঝে টেকনিক্যাল পার্টনার্শিপ এমন একটি উদ্যোগ যা ফলপ্রসূ হলে তথ্য সমৃদ্ধ একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল সিস্টেম তৈরি হবে।
পরবর্তীতে চুক্তির বিভিন্ন কারিগরী, সেবা ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জে. মো. নাসিম পারভেজ।
অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমা মোবারক বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি রয়েছে যা মোট বাজেটের প্রায় ১৮ ভাগ। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ যথাযথ ব্যবহারের জন্য কারিগরি প্ল্যাটফর্ম না থাকায় আর্থিক সেবাগ্রহীতাকে চিহ্নিত করা জটিল হয়ে পড়ে এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হন। চুক্তি অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচি এবং পেনশন সুবিধাভোগীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নাম্বার বিটিআরসির সিবিভিএমপি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যাচাই করা হবে এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তাদের প্রাপ্য সুবিধাসমূহ পাবেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে বিটিআরসি মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করছে।
সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সিবিভিএমপি ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো বিনির্মাণের পাশাপাশি বিটিআরসি প্রতিবছর সরকারি কোষাগারে সবোর্চ্চ কর বহির্ভূত রাজস্ব প্রদান করে আসছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কমিশনার (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস) প্রকৈাশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, কমিশনার (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. দেলোয়ার হোসাইন, মহাপরিচালক (স্পেকক্ট্রাম) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, মহাপরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) আশীষ কুমার কুন্ডু, মহাপরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) প্রকৌশলী মো. মেসবাহুজ্জামান, সচিব (বিটিআরসি) মো. নূরুল হাফিজসহ বিটিআরসি ও আইবাস++ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ
