ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আলোর বিপরীতে অন্ধকার!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২২
আলোর বিপরীতে অন্ধকার!

হবিগঞ্জ: নানান রঙের বৈদ্যুতিক বাতির আলোয় ঝলমলে চারদিক। ভবনজুড়ে প্রজ্জ্বলিত দেড় শতাধিক বাতি।

দেখে অনেকেরই মনে হতে পারে, কোনো অনুষ্ঠানকে ঘিরে এমন আয়োজন। কিন্তু না, এটি দেশজুড়ে চলমান বিদ্যুতের সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ের চিত্র।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় আলোর এমন ঝলকানী। গুণে দেখা গেছে সেখানে বাতি জ্বলছিল ১৬০টিরও বেশি।

শুধু জেলা পরিষদ কার্যালয়ই নয়, কয়েকদিন ধরেই এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে হবিগঞ্জের দুই শতাধিক সরকারি দপ্তরে। সেগুলোতে রাতভর জ্বলতে থাকে হাজারো বৈদ্যুতিক বাতি।

জেলা শহরসহ নয়টি উপজেলার বাজারগুলোতে রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ না করলে ব্যবসায়ীদের গুণতে হয় জরিমানা। গড়ে অন্তত ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে সর্বত্র। কিন্তু এর বিপরীতে সরকারি দপ্তরগুলোতে রাতভর বিদ্যুতের অপচয় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী সহ সব শ্রেণী পেশার মানুষ।

এদিন রাতে একই চিত্র দেখা যায় হবিগঞ্জ শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সার্কিট হাউজ, পুলিশ সুপারের বাসভবন, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, সড়ক ভবন, গণপূর্ত বিভাগসহ অন্তত অর্ধশত সরকারি দপ্তরে।

জেলার নয়টি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৭৮টি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা, থানা ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে রাতে কয়েক হাজার বাতি জ্বলতে থাকে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় বাতি ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ রাখলে সংকট মোকবিলা সহজতর হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, তিন বছরের করোনার ধাক্কা খেয়ে আমরা নিজেদের দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু বিদ্যুতের সংকটের কারণে রাত ৮টা বাজলেই দোকান বন্ধ করতে হচ্ছে। অথচ সরকারি দপ্তরগুলোতে প্রতিনিয়তই বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোতাহার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩৫ মেগাওয়াট। কিন্তু জাতীয় গ্রীড থেকে পাওয়া গেছে মাত্র ৭৪ মেগাওয়াট। লোড শেডিংয়ের মাধ্যমে এ ঘাটতি মেটাতে হচ্ছে।

সরকারি দপ্তরগুলোতে বিদ্যুতের অপচয় রোধে পরিকল্পনা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই নির্দেশনা এসেছে। দিনের বেলা সবগুলো বাতি ও এসি বন্ধ রাখা হবে। জানালা খোলা রেখে দাপ্তরিক কাজ সারতে হবে। আর রাতের বেলা শুধু নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু বাতি জ্বালিয়ে রেখে বাকিগুলো বন্ধ রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।