ঢাকা: রাজধানীতে এবার মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। হাটে এক থেকে আড়াই লাখ টাকা দামের গরু বেশি কেনা-বেচা হচ্ছে।
অন্যদিকে বড় সাইজের গরুর দাম মানুষ জিজ্ঞাসা করলেও তারা কোন দাম না বলে বাজার দেখছেন। শেষমেশ কিনছেন মাঝারি আকারের গরুগুলো।
সরেজমিনে রাজধানীর শাজাহানপুর কোরবানির হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সাতক্ষীরা থেকে ২০টি গরু নিয়ে এসেছেন খামারি সুরুজ আলী। তারমধ্যে যে ৭টি গরু বিক্রি হয়েছে সবগুলোই মাঝারি আকারের।
তিনি বলেন, ঢাকায় যারা কোরবানি দেন, তারা দুয়েক দিন আগে গরু কেনেন। সেজন্য সকাল থেকে হাঁট জমলেও বড় গরু বিক্রি হচ্ছে না। ৪ লাখের গরুর দাম আড়াই লাখ বললে তো দেওয়া যায় না।
বাজারে গোখাদ্যের দাম বেশি বলে গতবারের তুলনায় দামও বাড়তি। এজন্য বড় গরুর ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে করেন এ খামারি।
অন্যদিকে হাটে আসা ক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি, হাটে গরুও কম। তাই চাহিদার তুলনায় বাজারে গরুর সংকট থাকায় বেপারীরা দাম বেশি চাচ্ছেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, হাটের শেষদিকে কম দামে বেপারীরা গরু বিক্রি করে। সেজন্য আজ (৯ জুলাই) কিনতে এসেছি। কিন্তু এখনো বাজেটের মধ্যে গরু পাচ্ছি না।
মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম শেষদিনে গরু কিনতে এসেছেন গরু রাখার সমস্যা হওয়ায়। তিনি বলেন, গরু পছন্দ হলে দামে হয় না। আবার যেটা দামে হয়, সেটা পছন্দ হয় না। শেষ মুহূর্তে মাঝারি সাইজের গরুই কিনতে হবে মনে হচ্ছে।
গত বছর যে গরু ১ লাখ টাকা ছিল, সেরকম গরু এবার ২ লাখের বেশি চাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এ ক্রেতা।
শুধু আব্দুল হাকিম নয়, তার মতো প্রায় সব ক্রেতার দাবি, এবার বাজারে গরুর দাম গতবারের চেয়ে অনেক বেশি।
এ বছর ঈদুল আজহাকে ঘিরে রাজধানী ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মোট ১৮টি পশুর হাট বসেছে। এসব হাটে আগতদের জন্য রয়েছে নিরাপদ পানি ও পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা।
কিন্তু প্রথমদিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেও ধীরে ধীরে হাট নোংরা হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ৯ জুলাই, ২০২২
এনবি/এমএমজেড