ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাজেটে লিফটে শুল্ক না বাড়ানোর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
বাজেটে লিফটে শুল্ক না বাড়ানোর দাবি

ঢাকা: লিফটকে অত্যাবশ্যক ‘ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে’ রেখে আগের ১১ শতাংশ শুল্ক হার বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এলিভেটর একসেলটরস অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া)।  

সোমবার (২৭ জুন) রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে প্রস্তাবিত বাজেটে লিফটের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক বাড়ানের প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

 

মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল। সংগঠনের সহ-সভাপতি আক্তার জামিল ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি এমদাদ উর রহমান। এ সময় সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বেলিয়ার পক্ষে জানানো হয়, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে লিফট আমদানিতে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে লিফট ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ছিল। এক্ষেত্রে লিফটের ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ শুল্ক (১ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম কর) ছিল। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে লিফটকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আগের ১১ শতাংশ করসহ ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এতে খাতটিতে ৩১ শতাংশ শুল্ক বিদ্যমান। এর ফলে আমদাকিৃত লিফটের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে লিফট আমাদনিকারক বহু প্রতিষ্ঠান, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ভোক্তারা।

মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা জানান, স্থানীয় শিল্প রক্ষার নামে আমদানি শুল্ক বাড়ানো হলেও বাজারে তাদের শেয়ার ৫ শতাংশ। পুরোপুরিভাবে দেশে লিফট উৎপাদনকারী কোনো প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেনি। বছরে দেশে ৪ থেকে ৫ হাজার লিফট আমদানি হয়। ২০২০ সালে ৮০০ কোটি টাকার লিফট আমদানি হয়েছে। আর ২০২১ সালে আমদানি হয়েছে ৯০০ কোটি টাকার লিফট। মূলত ছোট লিফটে চাহিদা বেশি হওয়ায় আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ৮-১০ জনের লিফটের গড় মূল্য ১৮ থেকে ৪০ লাখ টাকা। আমদানি শুল্ক বাড়ানোয় এসব লিফটের দাম ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে।

বেলিয়ার সভাপতি এমদাদ উর রহমান বলেন, লিফট আমদানি নির্ভর পণ্য। যারা আমদানি করে তাদের এখানে এনে সংস্থাপন করতে হয়। ১ বছরের সার্ভিস দিতে হয়। পরে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। এ শিল্পের বয়স ৫০ বছর। এটিকে কেবলমাত্র আমদানি নির্ভর পণ্য হিসেবে দেখলে চলবে না। পৃথিবীর সব দেশেই লিফট প্রস্তুতকারীদের জন্য নীতিমালা রয়েছে। আমাদের দেশেও নীতিমালা প্রয়োজন।  

সংগঠনটির প্রস্তাবনাগুলো হল- লিফট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডের আলোকে বাংলাদেশ লিফট স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন, নূন্যতম ৩ বছর সময় বেধে দেওয়া। বাজেট পূর্ববর্তী সময়ে খোলা ঋণপত্র, লিফটকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রাখা এবং আগের শুল্ক হার ১১ শতাংশ বহাল রাখা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ২৭, ২০২২
এনবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।