মাগুরা: পদ্মা সেতু চালুর পরপরই বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি, লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কৃষিতে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
এর প্রভাব পড়বে মাগুরাতেও। মাগুরায় উৎপাদিত পণ্য মহম্মদপুর মধুমতি সেতু পার হয়ে ট্রাক পদ্মা সেতু হয়ে পৌঁছে যাবে ঢাকায়। ভোগান্তি ছাড়াই অধিক দামে কৃষি পণ্যে বিক্রি হবে এমনটাই বলেছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু চালুর আগে থেকেই মাগুরা-বিনোদপুর সড়কটি প্রস্তুতের কাজ চলমান চয়েছে। সড়কটি প্রস্তুত হয়ে গেলে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা পৌঁছানো সম্ভব হবে।
এদিকে জেলার লক্ষীকান্দর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে নির্মিত হচ্ছে ট্রাক টার্মিনাল। ট্রার্মিনালটি নির্মাণ হলে এ জেলায় অর্থনীতিতে আসবে ব্যাপক উন্নয়ন। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। গড়ে উঠবে শিল্প কারখানা।
তাছাড়া স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর ফলে মাগুরা থেকে সড়কপথে ঢাকায় যাতায়াতে সময় কমে আসবে। থাকবে না দীর্ঘ সময়ের পারের অপেক্ষায়। মাগুরা, মহম্মদপুর সড়ক দিয়ে মুমুর্ষ রোগী বহনের ক্ষেত্রে এই পদ্মা সেতু অন্যন্য ভূমিকা রাখবে।
মাগুরা লক্ষীকান্দর গ্রামের চাষি সুজন বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরা জেলা কৃষি নির্ভর জেলা। এই জেলায় তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন মহাসড়ক হচ্ছে। ফোর লেন রাস্তা তৈরি হচ্ছে। মাগুরার জেলার আশপাশের জেলার পণ্যবাহী ট্রাক পদ্মা সেতু পারে হয়ে ঢাকায় যাবে। সামনে পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। আমাদের অঞ্চলের কৃষিতে সুদিন ফিরে পাবে। আমাদের জেলার উৎপাদিন কৃষকের সবজি পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় দ্রুত পৌঁছানো যাবে।
মাগুরা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার। এক দিকে যেমন দূরত্ব কমছে, তেমনিভাবে পণ্যবাহী ট্রাক কম সময়ে মধ্যে পৌঁছে যাবে ঢাকায়।
মাগুরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা আশিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মা সেতু চালুর ফলে মাগুরার সড়ক ও জনপদে পরির্বতন আসবে। আগে ঢাকায় পৌঁছাতে ৫-৬ ঘণ্টা ব্যয় হতো। সেখানে যানজট ছাড়াই নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছাবে এ জেলার মানুষ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহামুদ বলেন, শষ্য ভরা বাওড়ে ঘেরা মাগুরা জেলা। এই জেলায় উৎপাদিত হয় সুবজ শাক, ফুল কপি, বাঁধা কপি, আলু, সিম, টোমেটা, মরিচ, বেগুনসহ নানা প্রকার সবজি। আগে কৃষকরা ন্যায্য মূল থেকে বঞ্চিত হতো। এই সেতুটির ফলে এই অঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায মূল পাবে। কৃষকদের জীবনযাত্রার উন্নয়ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
এনটি