ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জামালপুরের বন্যার পানি আরও ৩০ সে.মি. কমেছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
জামালপুরের বন্যার পানি আরও ৩০ সে.মি. কমেছে

জামালপুর: বৃষ্টি না হওয়ায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নামতে শুরু করেছে পানি।

জানা গেছে, জামালপুরে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও শুক্রবার (২৪ জুন) সকাল ৯টার দিকে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের পানি পরিমাপক এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট এলাকায় ৩০ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেয়েছে।  

বন্যা পরিস্থিতিতে এখনও বন্ধ রয়েছে জেলার প্রায় দুই শতাধিক স্কুল। তবে পানি কমতে থাকায় বন্যার্তদের অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে ছেড়ে বাড়ি ফিরছেন। এছাড়া জেলায় ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও অভিযোগ রয়েছে বিস্তর।

এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে জেলায় ৪৭০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাত লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে।

বন্যায় সরকারি হিসাবেই জামালপুরে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি। এক সপ্তাহ ধরে পাঁচটি উপজেলার ১৫৫টি গ্রাম বন্যাকবলিত। অথচ এখনও বেশির ভাগ গ্রামে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি। বন্যার্তদের অনেকে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

বানভাসিদের অভিযোগ, বেশিরভাগ গ্রামে তারা গত সাত দিনের মধ্যে কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি লোকজনকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে দেখেনি।  

কিন্তু জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, প্রতিদিনই বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

তবে সরেজমিনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইসলামপুর উপজেলায় এমন কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি। অবশ্য দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যার্তদের অনেকে ত্রাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলাতেও ত্রাণ কার্যক্রম চললেও নদী ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

এদিকে, পানি কমায় জামালপুরে প্রায় ১০টি স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। জেলার দেওয়ানগঞ্জে চর আমখাওয়া ইউনিয়নের লম্বাপাড়া, বকশীগঞ্জের কুশলনগর, সাজিমারা, বাঙ্গালপাড়া, কতুবেরচর, ইসলামপুর উপজেলার মডেল চর ইউনিয়ন সাপধরী, পলবান্ধা ইউনিয়নের নতুনপাড়া ও গোয়ালেরচর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।