ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নির্যাতন ও সহিংসতা নারীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাধা: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
নির্যাতন ও সহিংসতা নারীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাধা: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

ঢাকা: নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা নারীদের সব ধরনের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছে বলে জানিয়েছেন ম‌হিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফ‌জিলাতুন নেসা ইন্দিরা।  

মঙ্গলবার (২১ জুন) রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত ৩য় কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামের দ্বিতীয় দিনে ‘এনগেজিং মেন এন্ড বয়েজ: এন্ডিং ভায়োলেন্স এগেইনিস্ট উইমেন এন্ড গার্লস’ সেশনে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এ লক্ষে সরকার পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছে।  

তিনি ব‌লে‌ন, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পরিবার থেকেই সসিংসতার ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশ সরকার জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। নারী ও শিশু নির্যাতন বিচার ট্রাইবুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল ব্যবস্থায় নারীদের নিরাপত্তার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। সংশোধিত শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদন্ড’ করা হয়েছে। আইনের কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা নির্ভর করে সামাজিক অবস্থা ও মূল্যবোধের ওপর। আমরা রাতারাতি সামাজিক অবস্থা বদলে ফেলতে পারিনা, তবে ধীরে ধীরে তা পরিবর্তন করতে পারব। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গনমাধ্যম সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই সবার সম্মিলিত উদ্যোগে, আমরা নারী ও শিশুর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতামুক্ত দেশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করতে পারব। এ লক্ষ্যে কমনওয়েলথভুক্ত ও অন্যান্য দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।  

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা ব‌লে‌ছেন, নারী নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, সেল ও ট্রমা হেল্প সেন্টারকে উত্তম চর্চা হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অনুসরণ করছে। আট হাজার কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন সৃষ্টি করতে সহিংসতা, বাল্যবিয়ে ও যৌতুক রোধ বিষয়ে কিশোর-কিশোরীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

‘এনগেজিং মেন এন্ড বয়েজ: এন্ডিং ভায়োলেন্স এগেইনিস্ট উইমেন এন্ড গার্লস’ সেশনে আরও বক্তা হিসেবে ছিলেন ক্যামেরুনের সার্ভাইভারস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আওয়া ফ্রান্সিকা আম্বুলি, ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন আফ্রিকার পরিচালক টোইন ওজোরা সারাকি, সিচেলিসের যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রী সেলিন জিয়ালর, দক্ষিণ আফ্রিকার বাফানা কুমালাও ও কানাডার হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের পরিচালক সেনেহ ওরা সহ কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জুন ২১,২০২২
জিসিজি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।