ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নৌকায় করে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে বসুন্ধরার খাদ্য সহায়তা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
নৌকায় করে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে বসুন্ধরার খাদ্য সহায়তা

নেত্রকোনা: পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে বন্যার কবলে পড়েছে নেত্রকোনা জেলা। এ জেলার পানিবন্দী মানুষের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া শুকনো খাবার বিতরণ করছে প্রশাসন।

 

বসুন্ধরার দেওয়া চাল, ডাল, মুড়ির মতো শুকনো খাবার নৌকায় করে বন্যা কবলিত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।  

জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।  

তারা বিভিন্ন এলাকায় নৌকায় করে গিয়ে দিয়ে আসছেন বসুন্ধরা গ্রপের সহায়তা। জেলার বন্যা দুর্গত এলাকার মধ্যে দুর্গাপুরে এক হাজার প্যাকেট ও বারহাট্টা উপজেলায় পাঁচশ’ প্যাকেট ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়।  

শনিবার ও রবিবার (১৯ জুন) এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

বারহাট্টার ইউএনও এস এম মাজহারুল ইসলাম জানান, উপজেলায় বন্যা কবলিত আসমা ইউনিয়নের ওজানগাঁও, মনাস, চিরাম ইউনিয়নের তাহেরা মান্নান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, চিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

এসময় বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাইনুল হক কাশেম, আসমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম খান ছন্দু, চিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান চৌধুরী, বারহাট্টা উপজেলার কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি ফেরদৌস বাবুলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া দুর্গাপুরের গাওকান্দিয়া ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য এ ইউনিয়নে পাঁচশ’ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও রাজিব উল আহসান এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন। এসময় দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সদর ও পূর্বধলায় পাঁচশ’ প্যাকেট করে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কলমাকন্দায় এক হাজার প্যাকেট খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।  
 
এর আগে জেলা সদরে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ দুই হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করেছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণের জন্য পাঁচ উপজেলায় মোট পাঁচ হাজার এবং পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণের জন্য পাঁচ উপজেলার জন্য পাঁচ হাজার প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের কাজে লাগছে।  

প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে ত্রাণগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। রোববার (১৯ জুন) পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পাঁচ হাজার প্যাকেটের মধ্যে সাড়ে তিন হাজার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।