ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, সব ছুটি বাতিল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, সব ছুটি বাতিল

জামালপুর: জেলায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে। বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপদ্রুত এলাকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল করছে প্রশাসন।

জামালপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার নদ-নদীতে পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। ফলে দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, বকশীগঞ্জসহ জামালপুর সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

বিশেষ করে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ ও দেওয়ানগঞ্জে উপজেলা পরিষদে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

ইসলামপুর উপজেলার পার্থর্শী কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া ও ইসলামপুর সদর ইউনিয়ন; মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর, মাহমুদপুর আদ্রা, ও ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন; মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী ও চরপাকেরদহ ইউনিয়ন; সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা, ইউনিয়ন; বকশিগঞ্জ উপজেলার সাদুরপাড়া, মেরুরচর, বগারচর এবং জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

অপরদিকে পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কের মণ্ডল বাজার এলাকা ভেঙে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়া উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নে দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ি বাজার রোড়ে জিঞ্জিরাম নদীর ওপর সেতুর অদূরে দক্ষিণ পাশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত ভাঙনরোধের ব্যবস্থা না নিলে হয়তো সেতুর সংযোগ সড়ক নিশ্চিহ্ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এসব এলাকার মধ্যে ইসলামপুর উপজেলার যমুনার দুর্গম দ্বীপচর হরিণধরা, জিগাতলা, চরবেড়কুশা,বরুল, মুন্নিয়া, সিন্দুরতলি, চরচেঙ্গানিয়া, প্রজাপতি, চরশিশুয়া ও চর বিশরশির এলাকায় বন্যার পানিতে সয়লাব করেছে। এসব এলাকায় পাট,আখ, শাকসবজি, বীজতলা পানিতে তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে।  

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত ৫০৪ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে আউশ ধান ৬৪ হেক্টর, পাট ৩৭০ হেক্টর, শাকসবজি ৫৯ হেক্টর ও মরিচ ১১ হেক্টর।

জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, ‘দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের বন্যা কবলিত ৫০টি পরিবারকে রেলওয়ে স্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। দুর্গত এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বন্যাদুর্গতদের জন্য অগ্রিম ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ১৯ জুন, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।