ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সচল রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
সিলেটে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সচল রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী

সিলেট: ভারী বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে সুরমার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ডুবে যাচ্ছে সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র।

আর মাত্র ৪ ইঞ্চি পানি বাড়লেই বন্ধ হয়ে যাবে উপকেন্দ্রটি। এতে সারা সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।

শুক্রবার (১৭ জুন) সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ভেতরে পানি ঢুকেছে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। এদিন বেলা ২টার পর সেনাবাহিনী বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেছে।

জানা গেছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি সাবস্টেশনের মতো সিলেটের কুমারগাঁওয়ের বিদ্যুতের গ্রিড লাইনের সাব স্টেশনে পানি প্রবেশ করছে। এতে পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, সিলেট সিটি করপোরেশন, দমকল বাহিনী ও বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের সাকার মেশিন দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঢুকে পড়া পানি শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থল থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে কুমারগাঁও সাব স্টেশন তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এটি তলিয়ে গেলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে। এতে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। আর বিদ্যুৎ না থাকলে উদ্ধার কাজসহ স্বাভাবিক কাজকর্মও ব্যাহত হবে। তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির বলেন, কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে রাতে পানি ঢুকে পড়েছে। আর চার ইঞ্চি পানি বাড়লেই উপকেন্দ্রটি বন্ধ করে দিতে হবে। ইতোধ্যে সুনামগঞ্জ, ছাতক, কোম্পানিগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। নগরের উপশহরের ৩টি ফিডার বন্ধ রাখা হয়েছে। দক্ষিণ সুরমা সাবস্টেশনে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আর কুমারগাঁও উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, আমার চাকরি জীবনের ২৯ বছরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি উঠতে দেখিনি। কিন্তু এবারের বন্যার ভয়াবহতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল রাখতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বালির বস্তা দিয়ে চারপাশে বাঁধ দিয়ে ঢুকে পড়া পানি সেঁচ করে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও সিটি করপোরেশন এই কাজে সহযোগিতা করছে।

আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুন ২০২২
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।