ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীতে শুরু হলো ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ কার্যক্রম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
রাজশাহীতে শুরু হলো ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ কার্যক্রম

রাজশাহী: বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ‘জনশুমারিতে তথ্য দিন, পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নিন' এই স্লোগানকে সামনে রেখে কার্যক্রমটি শুরু হয়েছে।

বুধবার (১৫ জুন) সকালে মহানগরীর উপশহরের নিজ বাসভবনে জনশুমারিতে তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।  

এরপর এই উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশ নেন রাজশাহী সিটি মেয়র।

এ সময় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সারা দেশে ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা আগামী ১৫-২১ জুন পর্যন্ত চলবে। সরকার ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অবদান রাখার অভিপ্রায়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রথম ‘ডিজিটাল শুমারি’ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একটি দেশের সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই কেউ যেন শুমারির গণনা থেকে বাদ না যায় এবং কাউকে যেন একাধিকবার গণনা করা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

মেয়র সবাইকে তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের আহবান জানান এবং জনশুমারির সফলতা কামনা করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিস রাজশাহীর যুগ্ম পরিচালক এস এম আনিসুজ্জামান, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক কাজল রেখা, বিবিএস’র প্রোগ্রামার সাঈদা বেগম, রাসিকের ১৪ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, সিটি করপোরেশন শুমারি সমন্বয়কারী আসিফ ইকবালসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার জোনাল অফিসার, সুপারভাইজার ও গণনাকারীরা।

রাজশাহী বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্ম পরিচালক এস এম আনিসুজ্জামান জানান, পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী ‘আদমশুমারি’-কে ‘জনশুমারি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। জনশুমারি ও গৃহগণনা বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পরিচালিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপকভিত্তিক পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে।  

২য় জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। ১০ বছর পর্যাবৃত্তি অনুসরণপূর্বক দেশের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম জনশুমারি ও গৃহগণনা যথাক্রমে ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫-২১ জুন সময়ে মূল শুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

অর্থাৎ ১৫-২১ জুনকে ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে এবং ১৪ জুন তারিখ দিনগত রাত ১২টাকে (শূন্য মুহূর্ত ১৫ জুন) ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময়’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।