কক্সবাজার: সদর থানা সড়কের মাথায় কস্তুরাঘাট পয়েন্টে বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে ৫ দশমিক ৯৫ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু। ওই এলাকার দুই পাশে প্যারাবন ধ্বংস করে নদী দখলের মহোৎসব চলছিল শনিবার (১১ জুন) পর্যন্ত।
শনিবার বাঁকখালী নদীর ওপর স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় জেলা ছাত্রলীগ নেতা আদনান ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মারুফ নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপের মধ্যে। পরে ঘটনার সামাল দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সদর থানা পুলিশের একটি দল।
পরে জিল্লুর রহমান জানান, কস্তুরাঘাট পয়েন্টে বাঁকখালী নদীর দখলকৃত জায়গাটি ভূমি অধিদপ্তরের খতিয়ান-ভুক্ত জমি। সেখানে প্যারাবন আছে, তাই কেউ সেখানে যেতে পারবেন না।
কিন্তু দিন পার হতেই রাতে তার কথার বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। বাঁকখালী নদীর তীর দখল ও নির্মাণ কাজ শুরু হয় রাতের বেলা। খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান। কক্সবাজার থানা পুলিশ অভিযানে সহায়তা করে।
জানা গেছে, দখল ও স্থাপনা নির্মাণে মানা করাও পরও কথার এসব কাজ শুরু হলে ঘটনাস্থল থেকে তিন শ্রমিককে আটক করে পুলিশ। জব্দ করা হয় দুটি মোটরসাইকেল।
জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শনিবার বাঁকখালী নদীর তীর দখল ও নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেও গভীর রাতে এর বরখেলাপ করা হয়। অসংখ্য শ্রমিক নামিয়ে সেখানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পরে অভিযান পরিচালনা করা হলে কিছু শ্রমিক পালিয়ে যায়। আমরা তিনজনকে আটক করি। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনিরুল গিয়াস বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কস্তুরাঘাট পয়েন্টে বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে ৫ দশমিক ৯৫ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মিত হলে পাশের খুরুশকুল এলাকার সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে। কিন্তু সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রভাবশালীরা সেতুর আশপাশ দখলে মেতে উঠেছেন।
ওই জায়গার প্যারাবনের গাছপালা কেটে, নদী থেকে বালু তুলে তীরের জলাভূমি ভরাট করে প্লট তৈরি করা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে অনেকগুলো স্থাপনাও। এসব দখল-বেদখলের ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর দুটি মামলা দায়ের করে। কিন্তু তারপরও দখলদারিত্ব থেমে নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
এসবি/এমজে