ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এক পদ এক পেনশনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
এক পদ এক পেনশনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: এক পদ এক পেনশনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী কল্যাণ সমিতি।

শনিবার (৪ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ের নসরুল-হামিদ মিলনায়তনে ‘অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন বৈষম্য ও দূরীকরণ প্রসঙ্গে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে প্রায় ৮ লাখ পেনশনার আছে। এরমধ্যে ৮০ ভাগ হলেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। চাকরিক্ষেত্রে এদের বেতন কম ছিল৷ বর্তমানেও তাদের পেনশন কম। আমাদের দাবিটা মূলত এদের ঘিরে। ভারতেও বর্তমানে এক পদ, এক পেনশনের দাবি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০০৫ সালে অবসরে যাওয়া একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ২০১৫ সালে অবসরে যাওয়া একজন কর্মচারীর তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ পেনশন পাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ ও ১৫ সালে বেতন স্কেলে পেনশন সুবিধা কিছু বাড়িয়েছেন তাতে বৈষম্য কিছু কমেছে। কিন্তু, প্রতিটি নতুন জাতীয় স্কেল কার্যকর হওয়ার পূর্বে যারা যত আগে অবসরে গিয়েছে, তারা তত বেশি বঞ্চিত হয়েছে।

এক লিখিত বিবৃতিতে কাজী রিয়াজুল হক জানান, ২০১৫ সালে বেতন স্কেলে একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীর বেতন বেড়েছে ৯২-১০২ শতাংশ। অথচ, পেনশনারের পেনশন বেড়েছে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত ৪০ শতাংশ এবং এর ঊর্ধ্বদের ৫০ শতাংশ। সংগঠনের ৭৭ হাজার সদস্যের পক্ষ থেকে আমরা এ বৈষম্য নিরসনের  দাবি জানাচ্ছি।

সম্মেলনে নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহার আলী তালুকদার বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ে সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কমিটি। আমরা আমাদের দাবি আদায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ সময় দাবি আদায়ে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। সম্মেলনে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
এমকে/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।