ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গাড়ি আছে যাত্রী নেই

জি এম মুজিবুর, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, মে ২, ২০২২
গাড়ি আছে যাত্রী নেই যাত্রী কম নিয়ে চলছে বাস। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: রাত পোহালেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য মানুষ তাদের কর্মক্ষেত্র বা অস্থায়ী আবাস ছেড়ে পাড়ি জমায় জন্মভিটায়।

কেউ বাসে, কেউ ট্রেনে কিংবা লঞ্চে। কম হলেও দেশের অনেকেই এখন বাড়িতে যান আকাশপথে।  

ঈদকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক মানুষ দেশের প্রান্তিক এলাকায় আবার ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া এ দেশের মানুষের কাছে অনেকটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা টু আরিচা রোডে প্রাইভেটকার চালান ফকির চাঁন (৬১ ১৯৮৬ সাল থেকে।

এই রোডে তিনি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালান। কিন্তু ১০/১৫ বছর ধরে তার নজরে আসেনি ঈদের এক দিন আগে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা এত ফাঁকা! কোনো যাত্রী নেই। রোববার (১ মে) তারাবি নামাজ পড়ার পর থেকে তার সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন প্রাইভেটকারটি নিয়ে গাবতলী মসজিদের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু সকাল ১১টা পর্যন্ত কিন্তু কোনো যাত্রী নেই।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবার ঈদের দুই দিন আগে গাবতলীতে দেখা যেত মানুষের ঢল। যে যেভাবে পারে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করতো, কেউ মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, পিকআপভ্যানে আবার কেউ বা ট্রাকে বাসের ছাদে এমনকি পায়ে হেঁটেও বাড়িতে যেতে দেখা গেছে। এবার গাবতলী এলাকা ঘুরে দেখা মিললো ভিন্ন চিত্র। গাড়ি আছে, কিন্তু যাত্রী নেই।  
ঢাকা টু সাতক্ষীরা রোডের এস পি গোল্ডেনের টিকিট মাস্টার মো. মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে আমরা ৬/৭ গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলেও আমরা মাত্র দুইটা গাড়ি ছাড়তে পারছি, তারপরেও ২১ সিট বিক্রি হয়েছে, বাকি ২০ সিট খালি। এভাবে ছেড়ে গেছে গাড়ি। আর বাকি গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে, কাল ঈদ গাবতলীতে কোনো যাত্রী নেই।

ঢাকা টু বরিশাল রুটের হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার মো. কোরবান আলী বুলু তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে আমাদের তিন চারটা গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে এবং প্রতি গাড়িতে ১০/১২জন করে যাত্রী খালি যাচ্ছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ভিন্ন চিত্র বিগত বছরে যেখানে টিকিট দিতে পারি না আর এবার যাত্রী পাচ্ছি না। সকালে ঈদ। আজ গাড়ি ফাঁকা যাচ্ছে কোনো যাত্রী নাই। এটা আমাদের জন্য নজিরবিহীন ঘটনা।

তিনি আরও বলেন, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি একই রকম সবমিলে মোটর ব্যবসায়ীদের এবার ধস বলা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২২
জিএমএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।