ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের অপেক্ষা, ট্রেন ছাড়ছে যথা সময়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, মে ১, ২০২২
ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের অপেক্ষা, ট্রেন ছাড়ছে যথা সময়ে

ঢাকা: কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদযাত্রার পঞ্চম দিন। ভোর থেকেই স্টেশনে যাত্রীর চাপ গত তিন দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি।

একটু বেলা হতেই স্টেশনে যাত্রীর আনাগোনা বাড়ে। অনেকে যানজটের কথা চিন্তা করে একটু আগেভাগেই কমলাপুর রেল স্টেশনে চলে আসছেন। তবে ট্রেন ছাড়তেই পুরো প্ল্যাটফর্ম যেন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তখন নতুন করে আবার অপেক্ষা যাত্রীদের জন্য। আর ছিমছাম ফাঁকা প্লাটফর্মে বসে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা পরবর্তী ট্রেনের জন্য।

কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার (১ মে) বেলা ১১টা পর্যন্ত আন্তঃনগর ও লোকাল মেইলসহ ২০টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এ ট্রেনটি ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরি করে ৮টায় কমলাপুর স্টেশন ত্যাগ করে। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ভোর ৬টায় স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা। এ ট্রেনটি এক ঘণ্টা দেরি করে স্টেশন ছেড়ে যায়। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা। সেটি ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরি করে সাড়ে ৯টার দিকে স্টেশন ত্যাগ করে।

অবশ্য কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ারের দাবি, এই তিনটি ট্রেন স্টেশন ছাড়তে আধাঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট দেরি করেছে। তিনি বলেন, এটি ছিল অপারেশনাল ডিলে। এটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলা চলে না। আমাদের সব কিছু ঠিকই ছিল। তবে একটু সামাল দিতে কষ্ট হয়ে যায়। এত সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে স্টেশনে এসেছে আমরা তাদের ঠেকাতে পারছি না। আমরা সময়ের চেয়ে নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। অপারেশনাল খুবই ভালভাবে চলছে। কয়েকটি ট্রেন ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা দেরি হচ্ছে।

এদিকে রোববার সকালে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই প্রচুর মানুষের সমাগম। টিকিট না পেলেও অনেকেই চেপে বসেছেন ট্রেনে। অনেকেই আবার নিয়েছেন স্ট্যান্ডিং টিকিট। ট্রেনগুলোতে আসনের তুলনায় মানুষ অনেক বেশি। লম্বা রাস্তা দাঁড়িয়ে বা মেঝেতে বসে যেতে কষ্ট হলেও তাদের ভাষ্য- কিছু করার নেই, দাঁড়িয়ে গেলেও বাড়িতে যেতেই হবে।

বিনা টিকিটে কেউ যেন ভ্রমণ করতে না পারে তার জন্য স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুহূর্তে চেক করছেন রেলওয়ের কর্মীরা। যাদের টিকিট নেই তাদেরকে ‘ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষকের বাড়তি ভাড়ার টিকিট’ দেওয়া হচ্ছে।

এবারের ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা। এর মধ্যে শুধু আন্তঃনগর ট্রেনে আসন ২৭ হাজারের বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২২
এইচএমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।