ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মহেশখালীতে আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, গোলাগুলিতে সম্মেলন পন্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
মহেশখালীতে আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, গোলাগুলিতে সম্মেলন পন্ড

কক্সবাজার: কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় একপর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হলে সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়।

রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের সরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ফোরকান আহমদ (৫৫), আবুল হাশেম (৩৫), মানিক উদ্দিন (৩২) ও বাদশাহ মিয়ার (২৫) নাম জানা গেছে। ফোরকান আহমদ ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া মানিক উদ্দিন ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাদশা মিয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগের সভাপতি পদে দায়িত্বে আছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার সরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আলম। সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ব্রজগোপাল ঘোষ। ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রহমত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ।

তারা জানান, সম্মেলনে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ তার বক্তব্যে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এর জের ধরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর একপক্ষ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন।

এ ঘটনার পরে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহকে দায়ী করে স্থানীয় ৪ নম্বর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।

কামরুল হাসান সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, আহসান উল্লাহ তাকে জড়িয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে আতঙ্ক বেড়ে গেলে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত আহসান উল্লাহ গ্রুপের লোকজন এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ফোরকান আহমদ ও আবুল হাশেমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আহসান উল্লাহ।  তিনি বলেন, কামরুল হাসানের লোকজন তাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছেন। তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে গুলিবর্ষণ করলে সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। এই ঘটনায় তার পক্ষের মানিক উদ্দিন ও বাদশা মিয়া নামের দুই ব্যক্তি আহত হন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল হাই বলেন, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

ওসি বলেন, এ সময় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য সম্মেলন প্রাঙ্গণে কে বা কারা গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানতে পেরেছি।  ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
এসবি/এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ