ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পরশুরামে দাফনের ২৪ দিন পর মরদেহ উত্তোলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
পরশুরামে দাফনের ২৪ দিন পর মরদেহ উত্তোলন

ফেনী: ফেনীর পরশুরামে আদালতের নির্দেশে দাফনের ২৪ দিন পর নুর মোহাম্মদ (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন আলমের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।

মৃত নুর মোহাম্মদ উপজেলার দক্ষিণ গুথুমা গ্রামের আমান উল্লাহর ছেলে।

জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন আমজাদ হাটের ধর্মপুর গ্রামে দুলাল মিয়ার বাড়ির গাছ কাটার সময় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন নুর মোহাম্মদ। এ সময় তার কোমরসহ শরীরের একাধিক স্থানের হাড় ভেঙে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা আহতকে চাঁদপুরের একটি কবিরাজি চিকিৎসালয়ে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় মারা যান নুর মোহাম্মদ।

এর পরদিন ২৯ মার্চ ময়নাতদন্ত ছাড়াই জানাজা শেষে দক্ষিণ গুথুমা শান্তি কলোনিতে নুর মোহাম্মদের মরদেহ দাফন করা হয়।  

গত ৩১ মার্চ নুর মোহাম্মদকে (৩৫) পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করেন নিহতের শ্যালক নুর হোসেন (৪০)। মামলায় গাছের মালিক ও স্থানীয় ফার্নিচার ব্যবসায়ী দুলাল মিয়াকে (৫০) আসামি করা হয়েছে। দুলাল মিয়া উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের মুহাম্মদপুর গ্রামের জলকু মজুমদারের ছেলে। আদালতের বিচারক ফাতেমাতুজ জোহরা মুনা অভিযোগটি আমলে নিয়ে থানাকে এফআইআর ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্বশত্রুতার জেরে দুলাল পরিকল্পিতভাবে রশি টেনে গাছ থেকে নিচে ফেলে নুর মোহাম্মদকে হত্যা করেছেন।  

এ বিষয়ে মৃত নুর মোহাম্মদের বাবা আমান উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, দুলালের সঙ্গে আমার ছেলের ঝগড়া হয়েছিল। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।  

বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, আদালতের নির্দেশে নুর মোহাম্মদের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। মরদেহ তোলার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
 
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে নুর মোহাম্মদের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

মরদেহ তোলার সময় উপস্থিত ছিলেন- ফুলগাজী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান, পরশুরাম মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইদুর রহমান, বক্সমাহমুদ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ভূঁইয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সরোয়ারুল করিম চৌধুরী।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
এসএইচডি/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।