ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সনাতনী ওষুধ ব্যবহারে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
সনাতনী ওষুধ ব্যবহারে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: সবার জন্য মৌলিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আধুনিক ওষুধের পাশাপাশি সনাতনী ওষুধ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন (জিসিটিএম) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়াল) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

সেন্টারটি যৌথভাবে ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস।

ভারতের গুজরাটে এই প্রথম এ ধরনের সেন্টারের উদ্বোধন হলো। এ সেন্টারের লক্ষ্য হলো সনাতনী ওষুধের সঙ্গে প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটিয়ে ও প্রমাণ নির্ভর গবেষণার মাধ্যমে সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করা।

ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যদি আধুনিক ওষুধের সঙ্গে সনাতনী ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তবে আমরা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৩-এ উল্লেখিত সবারর জন্য মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আরও ভালো ফল আশা করতে পারি।

ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ও কারিকুলাম উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর ব্যাপারে গ্লোবাল সেন্টারের সঙ্গে অংশীদারত্বে আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থেই আমরা যৌথ মেডিকেল গবেষণা প্রকল্পের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব।

গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন প্রতিষ্ঠানটি সনাতনী ওষুধের জন্য প্রমাণ-ভিত্তিক গবেষণা ও গুণগত মানের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা টেকসইয়ত্ব, ন্যায্যতা ও উদ্ভাবনের ওপর সেন্টারটির কৌশলগত প্রাধান্য দেওয়ার প্রশংসা করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সনাতনী ওষুধ সব সময়ই বাংলাদেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে। আমাদের সরকার ২০১১ সালে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে সনাতনী ওষুধকে সন্নিবেশিত করেছে। আমরা এসডিজি-৩ অভীষ্ট অর্জনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবার সম্ভাবনা ও অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্রেডিশনাল মেডিসিন উদ্বোধনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালককে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সুস্বাস্থ্য ও মানব কল্যাণ নিশ্চিতে সনাতনী চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

শেখ হাসিনা ভারতে কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাপক টিকাদানের জন্য নরেন্দ্র মোদীর গতিশীল নেতৃত্বে ভারত সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশও সফলভাবে এই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং দেশের শতভাগ মানুষকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছে। দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

মহামারিকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বিনিময় ‘ভাল প্রতিবেশীসুলভ আচরণ’ ও কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। গোটা বিশ্ব দেখেছে কীভাবে ওই সংকটকালে দুই প্রতিবেশী পরস্পরকে সহায়তা এবং একসাথে কাজ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।