ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘রাতে বাল্কহেড চলতে দেওয়া হবে না’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
‘রাতে বাল্কহেড চলতে দেওয়া হবে না’ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন

চাঁদপুর: বাংলাদেশ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন বলেছেন, নৌপথ নিরাপদ রাখার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নদীতে রাতে বাল্কহেড চলতে দেওয়া হবে না। এই সিদ্ধান্তই ঠিক থাকবে এবং কোন পরিবর্তন হবে না।

নৌযান সংশ্লিষ্টরা দক্ষতা অর্জন ও দায়িত্ববান হলে অব্যশই নৌদুর্ঘটনা কমে আসবে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে চাঁদপুর আঞ্চলিক নৌযান সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন পরিদর্শন অফিস আয়োজিত নৌযানের সুকানি ও গ্রিজারদের প্রশিক্ষণ  এবং পরীক্ষা গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নৌযান মালিকরা সব সময় কম বেতনে কাজ করার জন্য অশিক্ষিত ও অদক্ষ লোকদের নিয়ে জাহাজ পরিচালনা করছেন। ফলে নৌপথে দুর্ঘটনা বাড়ছে। আমরা এখন থেকে শিক্ষিতদের এসব প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আসব।

জালাল উদ্দিন বলেন, দক্ষ ও শিক্ষিত নাবিকদের চাহিদা দেশ এবং বিদেশে সমানভাবে রয়েছে। তাদের পারিশ্রমিক অনেক সম্মানজনক। চাঁদপুর বন্দর ও মেঘনা উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় এখানকার লোকজন জন্মলগ্ন থেকেই নাবিক। তাদের সাহস অনেক বেশি। শুধুমাত্র সঠিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। চাঁদপুর নৌ সীমানা দেশ ও বিদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রুটে ঝুঁকিও রয়েছে। অনেক দুর্ঘটনা সম্পর্কে আপনাদের জানা আছে এবং আমি নিজেও জানি।

বালুবাহী বাল্কহেড মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা একেক জন ২ থেকে ৩ কোটি টাকা খরচ করে বালুবাহী বাল্কহেড বানিয়েছেন। আপনাদের কেউ এই কাজে আসতে বলেনি। আপনারা নিজেদের স্বার্থে এসেছেন এবং বিনিয়োগ করেছেন। বাল্কহেড কোনো জাহাজের মধ্যে পড়ে না। এগুলো তৈরির সময় ডিজাইন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি ও অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। এখন যখন আইনের আওতায় আসা এবং জরিমানা করা শুরু হয়েছে তখন আপনারা নিবন্ধনের জন্য চেষ্টা করছেন। আপনারা যেহেতু প্রথমেই অপরাধ করেছেন, এখন সময় তো একটু লাগবে। যাদের কাগজপত্র ঠিক নেই তাদের জরিমানা হবে। আমরা চাচ্ছি নৌ পথে সার্বিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য। এই জন্য আমাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।

মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য অনেক। দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে আমরা এখন গর্ববোধ করি। সরকার শিক্ষার প্রতি অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। নৌপরিবহন ক্ষেত্রেও শিক্ষিতদের এগিয়ে আসতে হবে। আপনাদের যে কোন সমস্যা আমাদেরকে জানাবেন। আমাদের ওয়েব সাইটে অভিযোগ করার ব্যবস্থা আছে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়, আমরা সকলেই আইনের আওতায়।

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার মো. মনজুরুল কবিরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মূখ্য পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান।

চাঁদপুর আঞ্চলিক নৌযান সার্ভে ও নিবন্ধন অফিসের পরিদর্শক মো. মিলন মোল্লার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ বিভাগ চাঁদপুরের প্রকৌশলী এবং প্রশিক্ষক নাছিমুল হক ফকির, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার মো. মাশহাদ, নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্জলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন শিকদার, চাঁদপুর বালুবাহী নৌযান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রব ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।

প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষায় চাঁদপুর অঞ্চলের ১২২ জন সুকানি ও গ্রিজার অংশ নেন।
 

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ১৯ এপ্রিল, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।