ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিষপানেই আদিবাসী দুই কৃষকের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
বিষপানেই আদিবাসী দুই কৃষকের মৃত্যু

রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ীর নিমঘুটু গ্রামের দুই আদিবাসী কৃষকের মৃত্যু বিষপানেই হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (১৬ এপ্রিল) মৃতদের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।  

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর দুই আদিবাসী কৃষক অসুস্থ হন ২৩ মার্চ সন্ধ্যায়। তারা নিজেরাই পরিবারের সদস্যদের জানান, বিষ খেয়েছেন। এর মধ্যে অভিনাথ মার্ডি নামে একজন ওই রাতেই বাড়িতে মারা যান। আর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ মার্চ মারা যান তার চাচাতো ভাই রবি মার্ডি। তাদের বাড়ি গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের নিমঘুটু গ্রামে।

অভিনাথ ও রবির পরিবারের দাবি, অনেক ঘুরেও গভীর নলকূপ থেকে সেচের পানি পাচ্ছিলেন না তারা। তাই ক্ষোভে ওই নলকূপের সামনেই দুজনে বিষপান করেন।

স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম এবং রবির ভাই সুশীল মার্ডি বাদী হয়ে গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার এই মামলার গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত সাখাওয়াত। এরই মধ্যে তাকে নলকূপ অপারেটরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি এ ঘটনা তদন্ত করে এরই মধ্যে প্রতিবেদনও জমা করেছে। তবে মামলার তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা করছিল।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রশ্নে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মৃত দুজনের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। এরপর সেগুলো ভিসেরা রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ল্যাবে। ওই ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করি। ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত দুজনের শরীরে বিষ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় আমরা অর্গানো ফসফরাস যৌগ নামে এক ধরনের বিষ পাই। এই বিষপানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। ’ 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রতিবেদনটি হাতে পেলে মামলার বিচার কার্যক্রম গতি পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।