ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দূর পাহাড়ে রঙ্গের মেলা 

অপু দত্ত,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
দূর পাহাড়ে রঙ্গের মেলা 

খাগড়াছড়ি: দুই বছর পর রং লেগেছে পাহাড়ে। বর্ণিল নানা আনুষ্ঠানিকতায় মেতেছে পার্বত্য জনপদ।

শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত এলাকা ছোট থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের আপন কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আনন্দ আয়োজন করেছে। করোনা মহামারির বছর দুটির পর বড় পরিসরে এবার বৈসাবি উৎসব হচ্ছে।  

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে নদী-ছড়াসহ প্রাকৃতিক পানির উৎসে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসিয়ে শুরু হয়েছে বৈসাবি উৎসব।

চলবে আগামী এক সপ্তাহ ধরে। যদিও উৎসবকে ঘিরে অনেক আগে থেকে নানা আয়োজনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও সামাজিক সংগঠন। প্রত্যন্ত এলাকার জুমিয়ারা জুমে উৎপাদিত অনেক পণ্য জমিয়ে রাখেন। যাতে ঐতিহ্যবাহী উৎসবে সাধ্যের সবটুকু দিয়ে যেন পরিবার নিয়ে আনন্দ করতে পারে।  

উৎসব উপলক্ষে অজপাড়া গাঁয়ের ঘরের কিংবা উঠানে পরেছে নতুন মাটির প্রলেপ। ঘরের দরজায় কিংবা জানালায় শোভা পাচ্ছে বুুনোফুল। আর সবটুকু আয়োজন হলো প্রাণের ‘বৈসাবি’ উৎসবকে ঘিরে।

প্রতিবছরের মতো বৈসাবি উৎসব ঘিরে জেলা-উপজেলা শহরে আয়োজনের কমতি নেই। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যালি, খেলাধুলা, মেলাসহ আরও কত কী। তবে প্রাণ থাকে প্রত্যন্ত পল্লির ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুুষগুলোর একত্রিত হয় ছোট আয়োজনে। এসব আয়োজনে অর্থের অভাব থাকলেও অন্য কোনো কিছুর অভাব নেই তাদের। হয়তো বর্ণিলতার ছাপ থাকে না, বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকে না, শহরে ডাক-ঢোল বাজে না, বিলাসী আয়োজন থাকে না। থাকে আন্তরিকতা, পরিবারবোধ, প্রাণশক্তি। এসব আবার শহরের মানুষগুলোর আয়োজনে থাকে না! পাড়ায় পাড়ায় চলছে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও ত্রিপুরাদের গরয়া নৃত্য।  পাশাপাশি তঞ্চঙ্গ্যা,বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো,খুমি,আসাম, চাক ও রাখাইনসহ ১৩ ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্রময় করে তুলতে প্রতিবছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে এ উৎসব করে থাকে।  

বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য সাজ ও বর্ণিল আয়োজন দেখতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। তারাও নানা রঙে সেজে উদযাপন করছেন পাহাড়ের এ উৎসব। আজ চাকমারা মূল বিজু, ত্রিপুরারা হারি বৈসু পালন করছে।  বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও ঐক্য আরো সুদৃঢ় হোক এই প্রত্যাশা সবার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।