ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি অনুমোদন

ঢাকা: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে ৫৬ লাখ লোককে দক্ষ করে গড়ে তুলতে জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি, ২০২২ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (০৬ এপ্রিল) সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।  

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি, ২০২১ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। এটা ২০২২ হবে ২০২১ হিসেবে নিয়ে এসেছিল।  এখন যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে ও আধুনিক বিশ্বের প্রযুক্তি পরিবর্তন হচ্ছে ফলে আমাদের উৎপান, প্রযুক্তি ও শ্রমিকদের দক্ষতা সেটার ব্যাপক পরিবর্তন করা দরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে এটা নিয়ে আসা হয়েছে। এটার মূল উদ্দেশ্য হলো, দেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এ বিষয়ে একটি আধুনিক যুগোপযোগী নীতির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমান যে শিক্ষা ব্যবস্থা বা দক্ষতা তা দিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মোকাবিলা করতে পারব না। এজন্য জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিতে এসব বিষয় ঢোকানো হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের ৫৬ লাখ লোককে পুনরায় দক্ষ করে তুলতে হবে। আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে করতে হবে। দ্রুত না করলে তো ম্যাচ করতে পারবে না। তখন দেখা যাবে ওই প্রযুক্তিও অ্যাডভান্স হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ৫ম শিল্প বিপ্লবের আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ২০৫০ সালের পরে ৫ম শিল্প বিপ্লব আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে থিম হবে পার্সোনালাইজেশন।

তিনি বলেন, বিশেষ করে কর্মসংস্থান প্রত্যাশী মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, অকর্ষণীয় উপায় নির্ধারণ, জনশক্তিকে কর্মশক্তি উপযোগী ও দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে বেকারত্বহীন দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠাই এই নীতির লক্ষ্য।  

এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার উন্নত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ এবং ২১০০ সালের যে নিরাপদ বদ্বীপ গঠনের পরিকল্পনা বা লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা খুবই প্রয়োজন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দক্ষ শ্রমিক গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য এই নীতিটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।