ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাতের আঁধারে রাস্তা কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
রাতের আঁধারে রাস্তা কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

চাঁদপুর: চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় রাতের আঁধারে মেহের দক্ষিণ ইউনিয়নের ভোলদিঘী মিয়াজী বাড়ি থেকে ফতেপুর গ্রামে যাওয়ার রাস্তা কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

সম্প্রতি রাস্তা নষ্ট করে ফেলায় ঘুরে বিকল্প রাস্তা দিয়ে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায়, রিকশায় বা হেঁটে এ অঞ্চলের লোকজনকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ভোলদিঘী মিয়াজী বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তাটি সিএস ও বিএস খতিয়ানে ভোলদিঘী মৌজার ২৮৯ ও ৩০৯ দাগে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। যা বিভিন্ন সময় সরকারি বরাদ্দে যান চলাচলের উপযুক্ত করা হয়েছে। ফতেপুর গ্রামের লোকজন এ রাস্তা ব্যবহার করে ভোলদিঘী ও সোনাপুর হয়ে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন। রাতের আঁধারে রাস্তাটি কেটে ফেলায় ওই অঞ্চলের জনসাধারণের পাশাপাশি করফুল্লেন্নেছা সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজ, শাহরাস্তি সরকারি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, ভোলদিঘী কামিল মাদরাসা ও ভোলদিঘী আলআমিন একাডেমির শতাধিক শিক্ষার্থী বিকল্প রাস্তা ঘুরে অনেক সময় ব্যয় করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করছেন।

তবে কে বা কারা কেন এ রাস্তা কেটেছে, কেউ তার কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি সম্পত্তি অবৈধ আত্মসাতের উদ্দেশে আগেও এ রাস্তাটি দখল করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই ভোলদিঘী গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার সীমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সামিউল মাসুদ রাস্তাটি দখলমুক্ত করে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। বেশ কয়েকদিন পর রাস্তাটি ফের দখল হলে ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিটুস লরেঞ্জ চিরানের ভূমিকায় দখলদাররা পিছু হটলে স্থানীয় জনগণ তাদের চলার পথ ফিরে পান।

পুনরায় রাস্তা কে নষ্ট করেছে এমন প্রশ্ন করা হলে ওই গ্রামের শাহজাহানের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার সীমা এ কাজ করতে পারেন।

এ বিষয়ে তাসলিমা আক্তার সীমা বলেন, ছেলের পরীক্ষার কারণে আমি দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকায় আছি। ২০১৭ সাল থেকে আমি রাস্তাটি দখলমুক্ত করতে লড়ছি। আমার অনুপস্থিতিতে দুর্বৃত্তরা আবার রাস্তাটি নষ্ট করে ফেলেছে।  

তার অভিযোগ, মূলত একই বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. আবু সুফিয়ান, শাহজাহানসহ কয়েকজন মিলে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার দোহাই দিয়ে তার মালিকানাধীন জায়গা দখলের পাঁয়তারা করে আসছেন। সরকারি রাস্তা নষ্ট করে যাতায়াতের নামে তার জায়গা দখল করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ রাস্তা দখলমুক্ত করতে গিয়ে তিনি বারবার হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন।

মেহের দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা কাটার বিষয়টি লোকজন জানিয়েছেন। কিন্তু কে বা কারা রাস্তা কেটেছে, তা জানা যায়নি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।