ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টিপু হত্যার রহস্য শিগগিরই উদঘাটন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
টিপু হত্যার রহস্য শিগগিরই উদঘাটন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

ঢাকা: আওয়ামীলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যাকাণ্ডের রহস্য শিগগিরই উদঘাটন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘টিপু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত, নাটের গুরু কারা সবকিছুই গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে নিয়ে আসা হবে। যারাই এ ঘটনায় জড়িত থাকুক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিলিং পলিটিক্যাল কিনা, সেই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাই না। আশা করি, খুব শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।

এস আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু। সে সময় সড়কে যানজটে আটকা পড়েন রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি (২২) । তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন জাহিদুলকে বহন করা মাইক্রোবাসের চালকও।

নিহত টিপু স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ডলি। তিনি শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা (নং-১৮) দায়ের করেন। তবে, নিহত শিক্ষার্থী প্রীতির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি।

মামলার এজহারে স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি উল্লেখ করেন, আমার স্বামী মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন। আমার বাবার মতিঝিল কাঁচা বাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে আছে। আমার স্বামী রেস্টুরেন্টটি দেখাশোনা করতেন। আমার স্বামী বৃহত্তর মতিঝিল থানা আওয়ামীলীগের ১০ বছর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন দলীয়ভাবে কোন্দল ছিল।

গত ৪-৫ আগে, আমার স্বামীকে দুষ্কৃতিকারীরা মোবাইলফোনে হত্যার হুমকি দেয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এজাহারে ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার মাইক্রোবাস নিয়ে গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্নাসহ তিনি হোটেলের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়। মতিঝিল এজিবি কলোনির 'সুলতান' নামে রেস্টুরেন্ট কাজ শেষে করে বাসায় ফেরার পথে রাতে শাজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার দোকানের সামনে দুষ্কৃতিকারীরা আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে আমার স্বামী মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
এসজেএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।