ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৮ বছর পর একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন আশা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
৮ বছর পর একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন আশা ৮ বছর পর একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন আশা।

রংপুর: রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আশা বেগম নামে এক প্রসূতি মা। এদের মধ্যে তিনটি কন্যা সন্তান ও একটি পুত্র সন্তান।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে  হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে সিজারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম হয়।

চার সন্তান সুস্থ থাকলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন প্রসূতি। তাকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।  

জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান বাঁধন ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করেন। তাদের আট বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনো সন্তান হয়নি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী আশা বেগমের আল্ট্রাসনোগ্রামে তিনি জানতে পারেন যে তার স্ত্রীর গর্ভে চারটি সন্তান রয়েছে। তাই আরও অনেক বেশি সতর্ক হয়ে গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক তিনি স্ত্রীর পরিচর্যা করেন। জরুরিভাবে কুড়িগ্রাম থেকে রংপুরে উন্নত চিকিৎসায় নিতে সময়সাপেক্ষ ও দুর্ভোগ হবে ভেবে প্রায় একমাস আগে রংপুরে বাসা ভাড়া নেন। সেখানে পরিবারের অন্য সকলের সহযোগিতায় স্ত্রীর পরিচর্যা শুরু করেন। পরে মঙ্গলবার প্রসব বেদনা শুরু হলে তিনি ডাক্তারের পরামর্শে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করান। সেখানে রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে তার স্ত্রী চার সন্তানের জন্ম দেন।

বাবা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বাঁধন তার সন্তানদের এবং ওদের মায়ের জন্য চান।

হাসপাতালটির কর্তব্যরত ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার তাহসিনা বিনতে আবেদ বলেন, মা আশার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ কারণে তাকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে অবজারভেশনে রাখা হয়েছ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পর তার শরীরের অবস্থা সম্পর্কে বলা যাবে। বাচ্চারা ভালো আছে।

এ বিষয়ে রমেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফারহানা ইয়াসমিন ইভা বলেন, একসঙ্গে চার সন্তান হওয়ায় তাদের ওজন অনেকটা কম এছাড়াও তারা ৩২ সপ্তাহে জন্ম নিয়েছেন। তবুও জন্মের পর তারা কান্না করেছেন। তাদেরকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।