ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দিনভর নগরীতে যানজটে নাকাল নগরবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
দিনভর নগরীতে যানজটে নাকাল নগরবাসী

ঢাকা: রাজধানীর সড়কে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি দেখা গেছে। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে নগরীর সড়কগুলোতে।

একদিকে তীব্র তাপদাহ অন্যদিকে সড়কে যানবাহনের ধীরগতিতে নাকাল হয়ে পড়েছে নগরবাসী। দিনের তাপ কমার সঙ্গে সঙ্গে সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে শুরু করেছে। একারণে সড়কে স্থবিরতা বিরাজ করছে।

পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকেই সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। রোদের তাপ আর যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। এর মধ্যেও ট্রাফিক কার্যক্রম চলছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে। এতে সকাল থেকে নগরীর সড়কগুলো ব্যস্ত হয়ে উঠে। একই সঙ্গে অফিসগামীদের যাতায়াত। সব মিলিয়ে সড়কের পরিস্থিতি সকাল থেকে ছিল ভয়াবহ। তবে সকালের রেশ দুপুর গড়িয়ে গেলেও কাটেনি। দুপুরে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরা। দিনের এসময়ও ছিল যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। দুপুর গড়িয়ে বিকেলও সড়কে যানজট দেখা গেছে। তবে অফিস ছুটির পর সড়কের অবস্থা আরও নাকাল হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন অনেকটা থেমে থেমে চলাচল করছে। যাত্রী ও পথচারীদের চলাচলও বেড়েছে। বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, সাতরাস্তা, মগবাজার, রমনা, মালিবাগ রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। এদিকে সড়কে কে কার আগে যাবে সেটিও দেখা যায়। বাসগুলো অনেকটা বাকা হয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তোলা ও নামানোর কারণেও কৃত্তিম যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। তীব্র যানজটের কারণে অনেক পথচারীকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে দেখা যায়।

অপরদিকে, রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দুই পাশের সড়কে বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ চলমান রয়েছে। সেসব জায়গাতে হরহামেশাই যানবাহনের জটলা থাকতে দেখা যায়। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দিনের পুরো সময় সেখানে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে।

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ মহাখালী পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সালাহউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মহাখালী থেকে সাতরাস্তা ও বিজয় সরণির দিকে কোনো যানবাহন ছাড়তে পারছি না। কারণ ওই দিকে গাড়িগুলো ঠিকমত টানা হচ্ছে না। রমনা, মগবাজার এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকায় আমাদের এখানে যানবাহনের জটলা তৈরি হচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একই অবস্থা। তবে দুপুরে কিছুটা চাপ কম ছিল।

পরিবহন চালকরা বলছেন, সড়কে যে পরিমাণ যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে সেই তুলনায় নগরীতে রাস্তা নেই।  

এদিকে, ট্রাফিক পুলিশ বলছে, বাস চালকরা সড়কে নিয়ম মেনে চলে না। তারা যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে আবার নামাচ্ছে। এতেও জটলা তৈরি হচ্ছে।

যাত্রীদের আক্ষেপ, সকালে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হয়। এরপরও যানজটে দীর্ঘসময় আটকা থাকতে হয়। যে পথেই যাই সেখানেই যানজটে পড়তে হয়।

বনানী সিগন্যাল পার হয়ে যানজটে থাকা বিকাশ পরিবহনের চালক রহমান বাংলানিউজকে বলেন,  অনেকক্ষণ হলো যানজটে আটকে আছি। বাসের স্টার্ট বন্ধ করে রেখেছি। আব্দুল্লাহপুর থেকে বনানী আসতে অনেক সময় পার হয়ে গেছে। এক দিকে গাড়ির ইঞ্জিনের তাপ অন্যদিকে রোদের তাপ, যানজট তো আছেই। গাড়ি চালাইতে মন চায় না।

যানজটের কারণে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে বাস থেকে মেনে চলে যায়। আবার যাত্রীদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডাও হয়।

মোহাম্মদপুর থেকে বিজয় সরণি হয়ে গুলশান এসেছেন সুমাইয়া জামান।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যানজটের ভয়ে সকালে বের না হয়ে দুপুরে বাসা থেকে বের হয়েছি। কিন্তু পুরো রাস্তায় যানজটে পড়তে হয়েছে। পুরো সড়কেই গাড়ি খুব ধীরগতিতে চলাচল করেছে। আবার ফেরার পথে একই অবস্থা হয় কিনা তা নিয়ে ভাবছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা মার্চ ১৫, ২০২২
এসজেএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।