ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলে পরিত্যক্ত হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
যুদ্ধাপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলে পরিত্যক্ত হবে

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধীর বাড়ি বা সম্পত্তি আদালত বাজেয়াপ্ত করলে তা পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত করার বিধান রেখে ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি (সম্পূরক বিধান) আইন, ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

একইসঙ্গে পরিত্যক্ত সম্পত্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আইনে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৪ মার্চ) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা ১৯৮৫ সালের অধ্যাদেশ। আমাদের দেশের পরিত্যাক্ত সম্পত্তি হচ্ছে যারা ১৯৭১ সালে দেশ ত্যাগ করে চলে গেছে, তখন বিধি-বিধান করে পরিত্যাক্ত সম্পত্তি হ্যান্ডেল করা হতো। সেটা পরবর্তী সময়ে ১৯৮৫ সালে একটি অর্ডিন্যান্স করা হলো। যেহেতু এটা সামরিক শাসনামলের অর্ডিন্যান্স সেজন্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নতুন আইন হিসেবে আনতে হচ্ছে।

আগের মতোই হচ্ছে, ছোটখাটো দু-একটি সংশোধন আনা হয়েছে। আইনের মৌলিক বিষয়টি ছিল পরিত্যক্ত সম্পত্তিগুলো অর্থাৎ বাড়িগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, জমিজমা নয়। দু-ভাগের মধ্যে ছিল- একটি তিন শতাংশ জমিসম্পন্ন বাড়ি, আরেকটি তিন শতাংশের বেশি জমির বাড়ি।

তিনি জানান, তিন শতাংশের বাড়িগুলোকে সেইল লিস্ট বলা হতো। যেগুলো তিন শতাংশের বেশি জমির সেগুলো নিয়ে রিটেইল লিস্ট। সেইল লিস্টে বাড়িগুলো যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে অগ্রাধিকার অনুযায়ী ১৯৭২ সালের দাম অনুযায়ী দিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

আর রিটেইল লিস্টের বাড়িগুলো পূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায়। এসব জমিতে অনেক অফিস আছে। এগুলো সরকারি বাড়ি হিসেবে পূর্ত মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দপ্তরকে লিজ বা ভাড়া দিয়েছে।

নতুন আইনে কিছু নতুন জিনিস আনা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীর মামলায় যদি কেউ দণ্ডিত হতো, কোর্ট যদি তার জমিজমা-সম্পত্তি সিজ করে নেয়, তবে সেটাও পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে পড়বে, যেটা আগে ছিল না।

আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রমাণিত বা ঘোষিত কোনো ব্যক্তির বাড়ি বা সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে সংযুক্ত বা বাজেয়াপ্ত করে তবে তা পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।

এখন বাড়িগুলোর যে মূল্য হয়েছে, মন্ত্রী, সচিবসহ বিভিন্ন বড় বড় অফিসাররা গুলশান-বনানীতে যেসব বাড়িতে থাকেন, এগুলো ৯৯ শতাংশই পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এসব বাড়ির মূল্য অনেক বেড়ে গেছে। এক-একটি বাড়ির দাম কয়েশ কোটি টাকাও হবে।

সেজন্য আইনে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে। আগে ছিল, সরকার এই বাড়িগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। এখন এখানে সংশোধনী আনা হয়েছে, সরকার প্রধান এটা করবেন। এসব বাড়ির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন সরকার প্রধান।

 বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এমআইএইচ/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।