ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শরীয়তপুরে আলোচিত জোড়া খুনের ফাঁসির আসামির মৃত্যু

  ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
শরীয়তপুরে আলোচিত জোড়া খুনের ফাঁসির আসামির মৃত্যু

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহীদ কোতোয়ালের মৃত্যু হয়েছে।  

শুক্রবার (১১ মার্চ) রাত ২টায় ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শহীদ কোতোয়াল শরীয়তপুর পৌর এলাকার হুগলি গ্রামের মৃত আবুল কাশেম কোতোয়ালের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শহীদুল শরীয়তপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। ২০২১ সালের ২১ মার্চ তার ফাঁসির আদেশ হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন আগে শহীদুল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিভাগীয় কারা হাসপতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউড হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে শহীদুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জানা যায়, সংসদ নির্বাচনের উত্তেজনার মধ্যে ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর শরীয়তপুরের জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি হাবীবুর রহমান এবং তার ভাই মনির হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ওই নির্বাচনে পালং-জাজিরা এলাকা নিয়ে গঠিত শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জাজিরা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব। আওরঙ্গজেবের পক্ষে অবস্থান নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ। তবে ১ অক্টোবর নির্বাচনের দিন সংঘর্ষের কারণে ১২টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়ে যায়। এ নিয়ে ৫ অক্টোবর শহরের পালং উত্তর বাজার এলাকায় হাবীবুর রহমানের বাসভবনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে একটি সভা চলছিল। সেখানে হামলায় হাবীবুর রহমান এবং তার ভাই মনির গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। অ্যাডভোকেট হাবীবুর রহমান ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার ভাই মনির হোসেন ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

ওই হত্যাকাণ্ডের পর হাবীবুরের স্ত্রী জিন্নাত রহমান বাদী হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আওরঙ্গজেবসহ ৫৫ জনকে আসামি করে এ হত্যা মামলা করেন। ২০ বছর পরে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন আলোচিত এ হত্যা মামলার রায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া মামলার জীবিত ৫২ আসমির মধ্যে তিনজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড এবং অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন- শাহিন কোতোয়াল, শফিক কোতোয়াল, শহীদ তালুকদার, মো. মজিবুর রহমান তালুকদার এবং মো. সলেমান সরদার।

আসামিদের মধ্যে দুই বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন মণ্টু তালুকদার, আসলাম সর্দার ও জাকির হোসেন মঞ্জুর।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।