ঢাকা: শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে সব ধরনের শিশুশ্রম দূর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে শিশুশ্রমমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমাদের লক্ষ্য।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ে শিশুদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহারে বৃত্তি প্রদানে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর মাধ্যমে ৬ মাসের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং ৪ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী শিশুরা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে উপবৃত্তি পাবে। সেই অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়ার জন্য বিকাশ এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম থেকে প্রত্যাহার করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম থেকে শুধু এই এক লাখ শিশুকে প্রত্যাহারই নয় এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের শ্রম থেকে শিশুদের প্রত্যাহার করা হবে। আজকের চুক্তিও এই সফলতার অংশ। ডিজিটাল বাংলাদেশে দোরগোড়ায় সহজেই সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১২টি বিভাগীয় শহর এবং ২টি উপজেলায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী শিশুরা ঝামেলা ছাড়াই উপবৃত্তির টাকাটা পেয়ে যাবে।
এ সময় তিনি প্রকৃত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুরাই যাতে এই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে এই সুবিধা পায় সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমে নিযুক্তির সর্বনিম্ন বয়স সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুস্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদের সভায় এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুযায়ী ১৪ বছরের নিচের কোনো শিশুকে শ্রমে নিযুক্ত করা যাবে না।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১০ মাসের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী নিজ নিজ কাজে দক্ষ ১০ হাজার শিশুকে স্বাবলম্বী করতে এককালীন ১৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দুই বছর মেয়াদি এ চুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে মঙ্গলবার (১ মার্চ) থেকে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.সেলিনা আক্তার, প্রকল্প পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন এবং বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল সাইফুল কাদীর।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড
.jpg)
