ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১ মার্চ থেকে পার্বতীপুর যাবে না বুড়িমারী কমিউটার ট্রেন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
১ মার্চ থেকে পার্বতীপুর যাবে না বুড়িমারী কমিউটার ট্রেন

লালমনিরহাট: ১ মার্চ থেকে পার্বতীপুর যাবে না লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের জনবান্ধব ট্রেন বুড়িমারী কমিউটার।  

বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ সুফি নূর।

 

পার্বতীপুর না গেলেও বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনটি সকাল ৮টায় লালমনিরহাট স্টেশন থেকে ছেড়ে বুড়িমারী যাবে। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে পুনরায় লালমনিরহাটে ফিরে যাত্রা সমাপ্ত করবে।

জানা গেছে, ট্রেনটি দিনাজপুরের পার্বতীপুর স্টেশন থেকে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে রংপুর-লালমনিরহাট হয়ে বুড়িমারী পৌঁছায় সকাল ১০টায়। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে পুনরায় একই রুটে পার্বতীপুর পৌঁছায়। ফলে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা যাতায়াত করতে পারেন। রংপুরের যাত্রীরাও এ ট্রেনে লালমনিরহাট জেলার অফিসের কাজকর্ম করতে পারেন। শিক্ষার্থীরা এ ট্রেনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ, কারমাইকেল কলেজ ও দিনাজপুর হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ এ বিভাগের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। একইভাবে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা এ ট্রেনে রংপুর যাতায়াত করেন। এ কারণে ট্রেনটি লাভজনক ও জনবান্ধব বাহনে পরিণত হয়েছে। ট্রেনটি বন্ধ হলে এসব যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়বেন।  

১ মার্চ থেকে বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনটির সিডিউল পরিবর্তন করছে রেল বিভাগ। এতে পার্বতীপুরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন সিডিউল অনুযায়ী ১ মার্চ থেকে সকাল ৮টায় ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশন থেকে ছেড়ে বুড়িমারী পৌঁছাবে এবং সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে পুনরায় লালমনিরহাট পৌঁছে যাত্রা সমাপ্ত করবে। ফলে রংপুর বিভাগে এ জনবান্ধব ট্রেনটি আর জনবান্ধব বা লাভজনক থাকছে না বলে আশঙ্কা স্থানীয় সুশীল সমাজের।  ট্রেনটি বন্ধ না করার দাবি তাদের।  

অপরদিকে করোনাকালে বন্ধ হওয়া রমনা কমিউটার ট্রেনটি ১ মার্চ থেকে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বিভাগ। যার সিডিউল নিয়ে আপত্তি রয়েছে যাত্রী সাধারণের। নতুন সিডিউল অনুযায়ী রমনা কমিউটার ট্রেনটি সকাল ৮টায় কুড়িগ্রামের রমনা বাজার থেকে ছেড়ে রংপুর পৌঁছাবে সকাল ১১টায়। সেখান থেকে লালমনিরহাট যাবে। পুনরায় লালমনিরহাট থেকে এ ট্রেনটি রাত ১০টায় কাউনিয়া হয়ে রমনা বাজার যাবে রাত দেড়টায়। এসময় রমনা কমিউটারও যাত্রীদের তেমন কাজে আসবে না বলে দাবি রেল যাত্রীদের। রেল বিভাগের এ সিদ্ধান্তের ফলে রংপুর বিভাগের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ ও ট্রেন সংকটে পড়বেন বলে দাবি করছে সচেতন মহল।  

ট্রেনের নিয়মিত যাত্রী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনে রংপুরে যাতায়াত করতাম। এখন এটি বন্ধ হলে বিকল্প কোনো ট্রেন না থাকায় বাসে যেতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তো সংকটই থেকে গেল। ট্রেনটি বন্ধ করার আগে রেল বিভাগের আরও ভাবা উচিত। অপরদিকে রমনা কমিউটারের সময় তো যাত্রীদের তেমন কোনো কাজে আসবে না। ফলে বৃহত্তর রংপুর বিভাগে ট্রেন যোগাযোগ ভেঙ্গে পড়বে।

রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী রহিম মিয়া বলেন, বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনটি রংপুর অঞ্চলের জনবান্ধব একটি ট্রেন। এ ট্রেনে অনেকেই রংপুর শহরে বসবাস করেও লালমনিরহাট জেলার যে কোনো উপজেলায় অফিস করেন। এটি বন্ধ হলে তো লোকসানে পড়বে রেল বিভাগ। রেল বিভাগের এ সিদ্ধান্তটি আত্মঘাতী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ সুফি নূর বাংলানিউজকে বলেন, বুড়িমারী কমিউটার বন্ধ নয়, যাত্রা ছোট করা হয়েছে। যা পার্বতীপুর না গেলেও লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে আপ ও ডাউন করবে। অপরদিকে কুড়িগ্রামের যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে বন্ধ থাকা রমনা কমিউটার ট্রেনটি ১ মার্চ থেকে চালু করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।