ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কোটি টাকার ব্রিজে উঠতে লাগে মই!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
কোটি টাকার ব্রিজে উঠতে লাগে মই! ব্রিজটির সঙ্গে লাল বৃত্ত চিহ্নিত মই।

বরিশাল: সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় কোটি টাকা ব্যয়ে করা ব্রিজে উঠতে হচ্ছে কাঠ-বাঁশের মই দিয়ে। এর ফলে ব্রিজটি কার্যত স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনো কাজেই আসছে না।



স্থানীয়রা জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের খালের ওপর ব্রিজটি এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়।

দেড় বছর আগে শরীফ এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন করে। তবে, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি। ফলে সোমাইপাড়, নাঘিরপাড়, খাজুরিয়া, চাঁদত্রিশিরা, আস্করসহ প্রায় ১০টি গ্রামের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষকে কাঠ-বাঁশের মই দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজে উঠতে হয়। তারপর খালের এপার থেকে ওপার যেতে হয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সেতুর নির্মাণ দেড় বছর আগে শেষ হলেও সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করেনি ঠিকাদার। এ কারণে প্রতিনিয়ত লোকজনকে কাঠ-বাঁশের মই দিয়ে ব্রিজের ওপরে উঠে পারাপার হতে হয়।  

ফলে ব্রিজটি ওই এলাকার লোকদের কার্যত কোন কাজে আসছে না বলে দাবি করেছেন সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস বখতিয়ার।

অপরদিকে বাগধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বাংলানিউজকে বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে অসংখ্যবার তাগিদ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত মাটি ভরাটের কাজ করা হয়নি।

আর ঠিকাদার ফয়েজ শরীফ বলেন, ব্রিজের নির্মাণ শেষ হয়েছে। তবে, ব্রিজের এক পাশে একটি পুকুর থাকায় ওই পুকুর ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করতে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন। এলজিইডি বিভাগে অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
 
যদিও উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার জানিয়েছেন ব্রিজটি সচল করতে এবং দুই পাশের সংযোগ সড়কের নির্মাণ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। সংযোগ সড়ক তৈরি হলে সেতুতে মানুষের যাতায়াতে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।